রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, মিত্রের দেখা পাওয়া খুব বেশি কঠিন হবে না। এর কারণ, দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রধানবিরোধী সাংবিধানিক গণতন্ত্রী দলের (সিপিডি) আসন। নির্বাচনের ফলাফলকে সিপিডির জন্য বড় ধরনের বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে ১৪৮টি আসন নিয়ে অন্যদের সঙ্গে দর–কষাকষি করে সরকার গঠন করা তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। কারণ, বিরোধী সব কটি দলের সম্মিলিত আসনসংখ্যা ক্ষমতাসীন জোটের চেয়ে সামান্য বেশি হলেও দলগুলোর মধ্যে নীতিসংক্রান্ত বিভাজন একত্র হওয়ার সুযোগ এনে দেবে না। ফলে ইশিবা এখন ডানপন্থী দুটি বিরোধী দলকে তাঁর পক্ষে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছেন।
ইশিবার এই লক্ষ্য অর্জন খুব বেশি কঠিন নয়। রোববারের ভোটের ফলাফলে আসনসংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে রয়েছে জাপান ইনোভেশন পার্টি (নিপ্পন ইশিন) এবং ডেমোক্রেটিক পার্টি ফর দ্য পিপল (ডিপিপি)। তাদের আসনসংখ্যা যথাক্রমে ৩৮ ও ২৮। এর যেকোনো একটিকে নতুন জোটে নিয়ে আসতে পারলে এলডিপির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট নিশ্চিতভাবেই আপাতত টিকে যাবে। কেননা, এর বাইরে ১২ জন নির্দলীয় বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন এলডিপির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
এলডিপি অবশ্য নিপ্পন ইশিনের চেয়ে চতুর্থ স্থানে অবস্থানরত ডিপিপিকে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করছে। কারণ, অতীতে নিপ্পন ইশিন সিডিপির সঙ্গে একমত হয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে। অপর দিকে ডিপিপির নেতা তামাকি ইয়োইচিরো ভোটের ফলাফল ঘোষিত হয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের বলেছেন, তাঁর দল সম্মত হওয়া রাজনৈতিক বিষয়াবলি নিয়ে যেকোনো দলের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে।