এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে রওশনপন্থী নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন, কাজী মামুনুর রশীদসহ অনেকে যুক্ত রয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে গত সোমবার জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সঙ্গে কথা বলেছেন রওশনপন্থী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন।
মোস্তফা জামাল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঐক্য জিনিসটা তো ভালো। তবে জাতীয় পার্টির ঐক্য খুব কঠিন কাজ। আমি বলেছি, যদি পারো করো।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, জাতীয় পার্টির খণ্ডিত অংশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চলছে রওশন এরশাদের সম্মতি নিয়ে। রওশন ইতিপূর্বে একাধিকবার বলেছেন, মৃত্যুর আগে তিনি পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ দেখতে চান। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর রওশন এরশাদ, তাঁর ছেলে সাদ এরশাদসহ অনুসারী সব নেতার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে।
এ অবস্থায় জাতীয় পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরুর দায়িত্ব নেন কয়েকজন নেতা। তাঁদের অন্যতম গোলাম সারোয়ার মিলন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা খণ্ডিত-বিভক্ত জাতীয় পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি গণতান্ত্রিক শক্তিশালী জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এটা তারই একটি প্রয়াস।’