জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিকে মাইম্যান, সিন্ডিকেট, ছাত্রলীগ নিয়ে পকেট কমিটি ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আগুন জ্বালিয়ে তারা এ বিক্ষোভ মিছিল করেন। এর আগে মশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন তারা।
আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীরা বলেন, দলের যেসব নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রামে নিজের জীবনকে উপেক্ষা করে দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন, তাদের উপেক্ষা করে কমিটি দেওয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল সভাপতি-সেক্রেটারির সরাসরি অনুসারীদেরই কমিটিতে রাখা হয়েছে। বাকিরা দলের প্রতি আনুগত্য ও পরীক্ষীত হলেও তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভকারী আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, “জবি ছাত্রদলের ফ্যাসিবাদী শক্তির মোকাবিলায় সম্মুখে থাকা ও দলের প্রতি আনুগত্যশীলদের বাদ দিয়ে বৈষম্যমুলক কমিটি দিয়েছে। তারেক রহমানের কথা ছিল মিছিলের শেষ ছেলেটাও যেন একটা পরিচয় পায়। সেই নির্দেশনা মানা হয়নি। এর প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করেছি।”
শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, “কমিটিতে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদেরই রাখা হয়েছে। আমাদের বাদ দেওয়া হিয়েছে কারণ আমরা সেন্ট্রাল সভা-সেক্রেটারির মাই ম্যান না। এ কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম ও ১১তম ব্যাচের কাউকেও রাখা হয়নি। এটা স্পষ্ট বৈষম্য। প্রয়োজনে কমিটিতে পদ সংখ্যা বাড়াতে পারতো।”
বিক্ষোভে শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্লাত পাটোয়ারী, জাফর মাহমুদ, ইমরান মোল্লা, হান্নান মাহমুদ, মহব্বত হোসেন বাবু, শাহাদাত হোসেন, নিবির মুন্সি, রাজু আহম্মেদ, আহসান মল্লিক, তুষার পাল, আহমেদ কাউসার আকাশ, মিয়া রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর ৪৫ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হিমেলকে আহবায়ক ও বাংলা বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী শামসুল আরেফিনকে সদস্য সচিব করে ২৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।