ছোটবেলার ঈদের কথা মনে এলে প্রথমেই মনে পড়ে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার কথা। আম্মা সকাল ছয়টার দিকে ডেকে দিতেন। এই ভোরে ওঠাটাই একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, ছোটবেলা থেকেই আমি রাত জাগতাম। দেখা যেত, ভোররাতে ঘুমাতে গেছি, কিছুক্ষণ পরই আবার উঠতে হতো। আলসেমি করে বলতাম, যাই-যাচ্ছি, একটু পরে উঠি। যত অজুহাতই দিই না কেন, আম্মা ঠিকই উঠিয়ে দিত। ঘুম থেকে উঠেই একদম কুসুম গরম পানিতে গোসল। ঈদের সকালের এই গোসলের কথা মনে পড়লে এখনো গা শিরশির করে।
গোসলের পর কিন্তু ঘুম পুরোপুরি কেটে যেত। মনে হতো, একদম পরিষ্কার হয়ে গেছি, পাকপবিত্র। ইস্তিরি করা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরতাম। এরপর বাবার (হুমায়ূন আহমেদ) সঙ্গে নামাজ পড়তে যেতাম। নামাজ পড়ে এসে নাশতা করতাম। ঈদের সকালে আম্মার হাতের এই নাশতাটা আমার খুবই প্রিয় ছিল। নাশতার পদের মধ্যে থাকত চালের আটার রুটি, কিমা করা মাংস, আলু দিয়ে ডাল। মাঝেমধ্যে আমাদের সঙ্গে বাবা নাশতা করত। আবার কখনো কখনো আসত না। তখন একাই নাশতা করতাম।