জুলাই আন্দোলনের পাঁচ মাস পেরোলেও পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজে শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের ভাস্কর্য ‘মুক্তির সোপান’ অক্ষত অবস্থায় ছিল।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের নেতৃত্বে ৭ মার্চের ভাষণের এই প্রতিচিত্রটি ভেঙে ফেলা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইরফান আহমেদ ফাহিম, সদস্যসচিব নাজমুল হোসেনসহ কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য নেতারা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এটা আরও আগেই ভাঙা উচিত ছিল। স্বাধীন এই ক্যাম্পাসে স্বৈরাচারীদের মনগড়া ইতিহাস থাকতে পারে না। শহীদ জিহাদ, শহীদ কাউসারদের ক্যাম্পাসে স্বৈরাচারদের ইতিহাস থাকতে পারে না।
এ বিষয়ে কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইরফান আহমেদ ফাহিম বলেন, ‘মুক্তির সোপান’ এ লেখা হয়েছে বিকৃত সব ইতিহাস। যে প্রতিচিত্রে থাকার কথা মুক্তিযুদ্ধের গেরিলাদের কথা, ইজ্জত হারানো মা বোনদের কথা, যেখানে থাকার কথা সব শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের কথা, সেখানে রয়েছে এক ব্যক্তি কেন্দ্রিক প্রচারণা।
তিনি বলেন, এটি নির্মাণের উদ্দেশ্যই ছিল নতুন প্রজন্মকে বোঝানো যে শেখ মুজিবের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা কোথাও উল্লেখ নেই। যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বারবার ইতিহাসের বিকৃতি করেছে। নিজেদের মনগড়া গল্প কাহিনী নতুন প্রজন্মদের কাছে তুলে ধরেছে।
ইরফান আহমেদ ফাহিম আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমাদের ক্যাম্পাসের চার জন শহীদ হয়েছে। ২৪ এর ইতিহাস যেন কেউ ভুলে না যায় এবং চার শহীদের স্মরণে আমরা এই প্রতিচিত্রে তাদের ছবি এবং স্মৃতিকথা স্থাপন করবো। ৭১ যেমন ভোলার নয়, তেমনি শহীদ জিহাদ, শহীদ ওমর ফারুক, শহীদ কাউসারদের অবদানও ভোলার নয়। এই ক্যাম্পাস যতদিন থাকবে, ততদিন তারা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, বিগত সরকারের আমলে ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারের পাশে শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের ভাস্কর্য ‘মুক্তির সোপান’ উদ্বোধন করেন।