গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ভাতিজা পলাশ চন্দ্র দত্তকে দোকানে বসিয়ে বাইরে বের হয়েছিলেন বলে জানান মামলার বাদী ও প্রীতি জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী রবীন্দ্র চন্দ্র দত্ত। দোকানে থাকা অন্যদের বরাত দিয়ে ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, রাত পৌনে আটটার দিকে ক্রেতা সেজে দোকানে প্রবেশ করে প্রথম দুই ডাকাত। এরপর বাকি ডাকাত সদস্যরা পিস্তলসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে দোকানে প্রবেশ করে পলাশকে জিম্মি করে ২৫ ভরি সোনা লুট করে নিয়ে যায়। তারা যখন পালিয়ে যাচ্ছিল, তখন ডাকাত–ডাকাত বলে চিৎকার করে মার্কেটের গেট আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন ব্যবসায়ী মোশারফ। এ সময় ডাকাতেরা তাঁর বুকের ডান পাশে গুলি করে। মোশারফ এখন কুমিল্লা মেডিকেলে।
একই বিপণিবিতানের ব্যবসায়ী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আশিকুর রহমান বলেন, মার্কেটটির দ্বিতীয় তলায় মসজিদ। রাত পৌনে আটটার দিকে বেশির ভাগ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন এশার নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে ছিলেন। হঠাৎ একটি মাইক্রোবাসে করে ডাকাত দলের সদস্যরা আসে। প্রথমে তাদের দুজন ক্রেতা সেজে প্রীতি জুয়েলার্সে প্রবেশ করে।
আশিকুর বলেন, ‘আমাদের মার্কেটে সবচেয়ে বড় সোনার দোকান প্রীতি জুয়েলার্স। দুজন ভেতরে প্রবেশ করার পরপরই আরেকজন গাড়ি থেকে নেমে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এরই মধ্যে দোকানে প্রবেশ করা দুজন বিভিন্ন সোনার গয়না দেখতে থাকে। একপর্যায়ে গাড়িতে থাকা বাকি চার থেকে পাঁচজন ডাকাত পিস্তল নিয়ে বের হয়ে আসে। তারা প্রীতি জুয়েলার্সের ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সোনার গয়না লুটে নেয়। ডাকাতদের মধ্যে কয়েকজনের মুখে মাস্ক পরা ছিল; মাস্ক ছাড়া ছিল কয়েকজন।’