এবারের চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) স্থাপত্য সম্মেলনে এমনই এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা পাওয়া গেল। গতকাল বুধবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এ সম্মেলন। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজিমুদ্দীন খান।
সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শীর্ষস্থানীয় স্থপতি, শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী এবং উদ্যোক্তারা। অংশগ্রহণকারী গবেষকেরা স্থাপত্যের নানান শাখা যেমন শহুরে পরিকল্পনা, পরিবেশবান্ধব নকশা, আধুনিক নির্মাণ কৌশল এবং ঐতিহ্য রক্ষার বিষয়ে তাদের সৃষ্টিশীল কাজ ও গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সম্মেলনের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের তৈরি স্থাপত্যকর্ম প্রদর্শনী। কেউ তৈরি করেছেন হাসপাতাল, কেউ স্টেডিয়াম, কেউ বহুতল ভবন; কিন্তু সবকিছু স্থান পেয়েছে একই ছাদের নিচে। সবই আসলে আদল, কোনটি পূর্ণাঙ্গ নির্মাণ নয়। শিক্ষার্থীরা তাঁদের বছরের পর বছর ধরে অর্জিত দক্ষতা এবং চিন্তাভাবনা থেকে নানা ধরনের স্থাপত্য ডিজাইন, মডেল এবং কল্পনাশক্তির মাধ্যমে নিজেদের সৃষ্টিশীলতাকে ভিন্ন ভিন্ন রূপে উপস্থাপন করেন সেখানে। তাঁদের প্রতিটি সৃষ্টিকর্মের পেছনে রয়েছে ব্যক্তিগত সৃজনশীলতা এবং ভবিষ্যতের নগর–পরিকল্পনা, পরিবেশবান্ধব নির্মাণ এবং আধুনিক স্থাপত্য প্রযুক্তির সমন্বয়। প্রতিটি স্থাপত্য সৃষ্টিকর্মের মধ্যে লুকিয়ে থাকে এক অনন্য গল্প, ধারণা ও গভীর চিন্তা।