নির্মাণাধীন ভবনে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) ভেতরে পোশাক ও নির্মাণশ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। বুধবার রাত ৯টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিইপিজেডের ভেতরে পোশাকশ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন। সংঘর্ষের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন উত্তেজিত শ্রমিকরা।
শিল্প পুলিশ জানায়, সন্ধ্যার দিকে নির্মাণাধীন একটি কারখানার মধ্যে তিন জন লোক ঢুকে পড়েন। নির্মাণশ্রমিকরা চোর ভেবে তাদের মারধর করে। এতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে।
তবে পোশাকশ্রমিকদের দাবি, তিন শিশু ঢুকেছিল ভবনটিতে। এর মধ্যে একজন নিখোঁজ রয়েছে অভিযোগ তুলে পোশাকশ্রমিকরা নির্মাণশ্রমিকদের ওপর চড়াও হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
নগর পুলিশের বন্দর অঞ্চলের উপকমিশনার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, ‘এটি মূলত নির্মাণ ও পোশাকশ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। নির্মাণাধীন কারখানায় চোর ঢুকে পড়ায় তাদের মারধর করেন নির্মাণশ্রমিকরা। পরে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান পোশাকশ্রমিকরা। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।’
মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা আরও বলেন, ‘ইপিজেডের ভেতরে নির্মাণশ্রমিকদের সঙ্গে মীমাংসা হলেও এখনও সড়কে অবস্থান করছেন পোশাকশ্রমিকরা। বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা চলছে। শিশু নিখোঁজের দাবিটি গুজব।’
চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুস সোবহান বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবার উপস্থিতিতে সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টির মীমাংসা হয়। ইপিজেডের ভেতরে এখন কোনও সমস্যা নেই। সবকিছু স্বাভাবিক।’