গত মঙ্গলবার নগরের ৫টি স্থানে খোলাবাজারে কৃষি সবজি বিক্রি (কৃষি ওএমএস) শুরু করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। দুই দিন পর বৃহস্পতিবার থেকে নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরে ট্রাকে করে ২০টি স্থানে পণ্য বিক্রি শুরু করে টিসিবি। চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্থানসংখ্যা ৫ থেকে ১০টি করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। প্রতিটি স্থানে বরাদ্দ ২০০ থেকে বাড়িয়ে ২৫০ জন করা হয়। এরপরও চাহিদা পুরোপুরি মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।
কর্মকর্তাদের তথ্য ও বিক্রয়ের স্থান হিসেবে, সবচেয়ে বেশি চাহিদা নগরের বহদ্দারহাট, ষোলোশহর, চকবাজার, কোতোয়ালী, পাহাড়তলী, আগ্রাবাদ, ইপিজেডসহ বেশ কিছু এলাকায়। জানা গেছে, এসব এলাকায় শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা নগরের অন্যান্য এলাকার তুলনায় বেশি। ফলে চাহিদার বিপরীতে এসব এলাকায় পণ্য বিক্রির স্থান বেশি।
মূলত বাজার থেকে মূল্য কম হওয়ায় চাহিদা বেশি এসব স্থানে। পণ্যমূল্য যাচাই করে দেখা গেছে, বাজার থেকে অন্তত ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে চাল ও আটা বিক্রি করছে খাদ্য অধিদপ্তর। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ৪৯০ টাকার প্যাকেজে ডিম, আলু, পেঁয়াজ ও তিন পদের সবজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে একই পরিমাণ পণ্যের দাম অন্তত ৬৫০ টাকা। অন্যদিকে টিসিবির ৪৭০ টাকার প্যাকেজের চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের মূল্য বাজারে ৭৫০ টাকার বেশি।
সার্বিক বাজার ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজারে অনেক পণ্যের দাম কমেছে গত কয়েক দিনে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় বৈঠক হয়েছে। বন্যা ও বৃষ্টির প্রভাবে কৃষক পর্যায়ে দাম বেড়েছে। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়।’