প্রতিবেদনে বলা হয়, গুমের শিকার অনেক ব্যক্তিকে ভিত্তিহীন অভিযোগে পুলিশের হাতে সোপর্দ অথবা আদালতে হাজির করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (পরে যা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন) ভিত্তিহীন মামলা করা হয়েছে। এ ধরনের কারসাজি শুধু গুমের প্রকৃতি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করেনি, পাশাপাশি এতে গুমের শিকার ব্যক্তিদের ভোগান্তি বেড়েছে। কারণ, গোপন বন্দিশালা থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও মিথ্যা মামলা ও ত্রুটিপূর্ণ বিচারব্যবস্থার কারণে বছরের পর বছর ধরে এসব মানুষকে হয়রানি ও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে এ ধরনের শত শত ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনা যেমন ঘটেছে বিভিন্ন স্থানে, তেমনি এর সঙ্গে বিভিন্ন বাহিনী জড়িত ছিল। গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কীভাবে মিথ্যা মামলা সাজানো হতো, এসব ঘটনা থেকে তা উঠে এসেছে।
গুমের ঘটনা নিয়ে তদন্ত এখনো চলমান থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে কমিশন বলেছে, এসব ঘটনা নিয়ে আরও তদন্ত করে ভবিষ্যতের প্রতিবেদনে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।