ক্যারিয়ারের প্রথম দিককার কথা মনে করে আসিফ সেই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ইথুন বাবু ভাই আর আমার রাত জাগার অভ্যাস। একদিন সারা রাত কাজ। হঠাৎ গভীর রাতে আমার স্ত্রীর ফোন, ছোট ছেলে রুদ্র অসুস্থ। অজ্ঞান হয়ে গেছে। বললাম, তুমি তো আছ। কোনোভাবে সামলে নাও, প্লিজ! হাসপাতালে নিয়ে যাও। ভোরে কাজ শেষে বাসায় ফিরি। ইথুন বাবু ভাই আমাকে গাড়িতে করে নিয়ে নামিয়ে দেন। আমি চলে যাচ্ছি, এই সময় আবার গাড়ি ঘুরিয়ে এসে বললেন, “তোর মন খারাপ কেন?” ইথুন বাবু ভাই আমাকে ৫০০ টাকা দিলেন। আমার পকেটে ছিল মাত্র ১০ টাকা। ইথুন বাবু ভাই বললেন, তুই রাতে আসবি। তোর টাকা আছে আমার কাছে। রাতে তোর টাকা দেওয়া হবে। ওই ৫০০ টাকায় আমি অ্যাংকর মিনিপ্যাক দুধ কিনেছিলাম ২০ টাকা করে। ৬ প্যাকেট দুধ কিনলাম। ৬ প্যাকেট দুধের সঙ্গে ছয়টা চামচ ফ্রি। (এই কথা বলার সময় আসিফ কাঁদতে থাকেন। এমন সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ইথুন বাবু এগিয়ে এসে আসিফের পিঠে হাত রাখেন) আমার বাসার জন্য এক সেট চামচ হলো। এই রকম অসংখ্য গল্প আছে ইথুন বাবু ভাইয়ের সঙ্গে। ইথুন বাবু ভাই মেজাজি মানুষ, কিন্তু একদম শিশুর মতো মন। “ও প্রিয়া” যখন রিলিজ হবে, তখন সাউন্ডটেক হঠাৎ অ্যালবাম রিলিজ বন্ধ করে দেয়। ঈদে আর রিলিজ হবে না অ্যালবাম। আমার খুব মন খারাপ। আহমেদ রিজভী ভাই বললেন, এখন আইয়ুব বাচ্চু, জেমস, এস ডি রুবেলদের মতো বড় শিল্পীদের অ্যালবাম বের হচ্ছে। তোমার অ্যালবামটি পরে বের হলেই ভালো। কারণ, তোমার অ্যালবাম হিট হলেও পুনরায় অর্ডার পাবে না। মন খারাপ আমার। কুমিল্লা চলে গেলাম। সেবার আমি ঈদ করিনি। তবে আমি কিন্তু সামর্থ্যবান পরিবারের সন্তান।’