গুলশানে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকরা। তাদের দাবি, প্যাডেলচালিত রিকশার তুলনায় ব্যাটারিচালিত রিকশার জমা কম এবং আয় বেশি। পাশাপাশি এটি চালানোও সহজ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) গুলশান ও এর আশপাশের কয়েকটি এলাকার সড়কে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
বিক্ষোভকারী চালকরা অভিযোগ করেন, গুলশান সোসাইটি রিকশা চলাচল সীমিত করে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করতে চাইছে, যেখানে ২০ হাজার টাকার প্যাডেল রিকশা কয়েকগুণ বেশি দামে রাস্তায় নামানো হচ্ছে। এতে গরিব মানুষের জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা গুলশান, বাড্ডা, নর্দ্দা ইত্যাদি এলাকায় রিকশা চালিয়ে আয় করি। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করা হলে গুলশানে অন্য কোনও রিকশাও চালাতে দেওয়া হবে না।
এদিকে গুলশানের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা তাদের রিকশা নিয়ে মিছিল করেন। অভিযোগ উঠেছে, কোথাও কোথাও তারা গুলশান সোস্যাইটির নিবন্ধিত কিছু প্যাডেলচালিত রিকশার ওপর হামলা চালিয়েছেন। তারা গুলশান-বনানীর বিভিন্ন স্থানে লাগানো ‘অটোরিকশা নিষিদ্ধ’ ব্যানার খুলে ছিঁড়ে ফেলেন। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার অটোচালকদের গুলশান এলাকায় যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে স্থানীয়ভাবে।
উল্লেখ্য, গুলশানে আগে শুধু নির্দিষ্ট রঙের নিবন্ধিত প্যাডেলচালিত রিকশা চলাচল করতো। গত সাত-আট মাস ধরে ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ বাইরের রিকশাও চলাচল করছে। এতে এলাকায় যানজট ও বিশৃঙ্খলা বেড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এই পরিস্থিতিতে গুলশানে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, গুলশান সোসাইটি এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এর অংশ হিসেবে শনিবার থেকে গুলশানের ৯টি প্রবেশপথে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে গুলশান সোসাইটি ২০ জন অতিরিক্ত নিরাপত্তা গার্ড নিয়োগ দিয়েছে, যারা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করবেন।