Homeদেশের গণমাধ্যমেগুলশানের অবরোধ ছেড়ে আবার ক্যাম্পাসের সামনে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা

গুলশানের অবরোধ ছেড়ে আবার ক্যাম্পাসের সামনে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা


রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বর অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে ১ ঘণ্টার মতো সেখানে অবস্থান শেষে তারা ক্যাম্পাসের সামনে ফিরে আসেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (৭টা ৫০ মিনিট) তারা কলেজের মূল ফটকের সামনে মহাখালী-গুলশান সড়কের একপাশ আটকে বিক্ষোভ করছেন।

এর আগে আজ বিকালে টানা চতুর্থ দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। পূর্বঘোষিত ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা প্রথমে ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে মহাখালীতে সড়ক অবরোধ করেন। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর আবার কলেজের সামনে ফিরে যান। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে গুলশান-১ নম্বর চত্বরে গিয়ে চতুর্মুখি সড়ক আটকে দেন আন্দোলনকারীরা। এতে করে গুলশান, বাড্ডা, মহাখালী ও তেজগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এরফলে গুলশান, বাড্ডা, মহাখালী, তেজগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে অফিসফেরত মানুষকে দীর্ঘসময় যানজটে অপেক্ষায় থাকতে হয়।

একই দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে তিতুমীর কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে অনশন করছেন। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট ১২ জন শিক্ষার্থী অনশনে যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আজ দুজনসহ এখন পর্যন্ত মোট ছয় জনকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  আজ শনিবার হাসপাতালে ভর্তি দুই শিক্ষার্থী হলেন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের মফিজুল ইসলাম ও বাংলা বিভাগের আবু নাঈম। তাদের রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এরআগে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান মহোদয় এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন— শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক, তিনি রাষ্ট্রকে বিষয়টি জানাবেন। শিক্ষার্থীরা অনশনরত অবস্থায় মারা যাবে, আর তারা রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে ধীরে-সুস্থে কাজ করার কথা ভাবছে। এ ধরনের বক্তব্য শিক্ষার্থীরা আশা করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার মধ্যে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি মেনে নিয়ে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ বা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। রেল ও সড়কপথ এই কর্মসূচির আওতাভুক্ত থাকবে।

তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

এদিকে শিক্ষার্থীদের চলমান এই আন্দোলনের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ‘আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকার অবহিত’ উল্লেখ করে এতে জানানো হয়, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। এক্ষেত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে এই কমিটি তিতুমীর কলেজসহ সাতটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এই কলেজগুলোর শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা ও মানোন্নয়নই বর্তমানে সরকারের প্রধান লক্ষ্য এবং এক্ষেত্রে করণীয় সব বিকল্পই সরকারের বিবেচনায় থাকবে। এ অবস্থায় তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই। সেজন্য আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য্য ধারণের অনুরোধ করা হলো। জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় বা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

বিবৃতিতে সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সরকার সব সময় সচেতন ও সহানুভূতিশীল রয়েছে বলেও জানানো হয়।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত