২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুমের ঘটনাগুলো তদন্ত করতে অন্তর্বর্তী সরকার গত ২৭ আগস্ট এই কমিশন গঠন করে। কমিশনে র্যাব, ডিজিএফআই, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি, পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, কমিশন এখন পর্যন্ত যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছে, তার মধ্যে ৭৩ শতাংশ ভুক্তভোগী ফিরে এসেছেন। বাকি ২৭ শতাংশ (অন্তত ২০৪ জন ব্যক্তি) এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন ৩ অক্টোবর তাদের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে জানায়, শেখ হাসিনা সরকারের সময় জোরপূর্বক মানুষকে তুলে নিয়ে গোপন বন্দিশালায় গুম করে রাখার প্রমাণ মিলেছে। ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিতি পাওয়া এ বন্দিশালার অবস্থান ডিজিএফআইয়ের সদর দপ্তরের চৌহদ্দির মধ্যে, যা একসময় জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
ওই সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এই কমিশন সুনির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্যে সিভিল কোর্ট হিসেবে কাজ করবে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের তলব করা হবে।