গাজীপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান এলাকায় শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর চলাকালে ডাকাত সন্দেহে এলাকাবাসী ১৬ জনকে পিটিয়ে আহত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের মধ্যে মো. হিমেল, নাভিল আহাম্মেদ, মো. হাসান হাসান, গৌরব, শুভ, ইয়াকুব, অপু, বিশাল, ইমন হোসেন ও জাহিদুল ইসলামের নাম জানা গেছে। তবে তাদের পরিচয় বিস্তারিত জানা যায়নি।
এলাকাবাসী জানান, সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের পৈতৃক বাড়ি থেকে রাত ১০টার দিকে ডাকাত ডাকাত চিৎকার শোনা যায়। একপর্যায়ে এলাকাবাসী বের হয়ে ধাওয়া দিলে অনেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে কয়েকজন ধরা পড়ে এবং তাদের এলাকাবাসী মারধর করে। এ সময় গনপিটুনিতে অন্তত ১২-১৬ জন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, উত্তেজিত গ্রামবাসী বেশ কয়েকজনকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির ভেতরেই ফেলে রেখেছে। অনেককেই আটক করে মারধর করা হচ্ছে।
গাজীপুর সদর থানার ওসি আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘ প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ছাত্র-জনতার পরিচয় দিয়ে সাবেক মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে স্থানীয় লোকজন হামলাকারীদের আটক করে ব্যাপক মারধর করেছে। এতে ১৬ জন আহত হয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। এ ঘটনায় আহত ১৬ জনকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে আহতের সংখ্যা আরও বেশি।
তিনি জানান, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি।’
গাজীপুরের সিভিল সার্জন মাহমুদা আখতার কালবেলাকে বলেন, ‘১৫-১৬ জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।’