খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে আট শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে মহানগরের সোনাডাঙ্গা থানার শিববাড়ী মোড়ের জিয়া হল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক পক্ষের দাবি, তাদের ওপর হামলা হয়েছে। অপর পক্ষের দাবি, হামলা নয়; অভ্যন্তরীণ বিরোধ। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা সরকারি বিএল কলেজের শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পীর সঙ্গে সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি সাকিব রেজার কোনও একটি বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আট জন আহত হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনার সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, ‘মহানগরের শেখপাড়ায় সমাজসেবা অফিসে অনুষ্ঠান শেষে আমরা ফিরছিলাম। ফেরার পথে শিববাড়ীর জিয়া হল চত্বরে অজ্ঞাত ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আট জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে দুজন ছাত্রীর অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তারা হলেন- সিটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া আক্তার (১৮) ও সরকারি পাইওনিয়ার মহিলা কলেজের ছাত্রী দিয়া (১৮)। চিকিৎসা দেওয়ার পর তারা সুস্থ হয়েছেন। আহত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের ছাত্র নাজমুল (২৪)। তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই আমরা।’
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক পক্ষের প্রতিনিধি দাবি করে সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের ছাত্র সাকিব রেজা বলেন, ‘এটি হামলার কোনও ঘটনা নয়। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই নিজেরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। আমি নিজেও ওই ঘটনায় আহত হয়েছি। মূলত অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়েছে। হামলার ঘটনা ঘটেনি। কেউ বড় ধরনের আহত হয়নি।’
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি।’
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যা ৭টায় শিববাড়ী মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।