Homeদেশের গণমাধ্যমেখুব না হলেও আমরা অনেকের চেয়ে ভাল আছি: অর্থ উপদেষ্টা

খুব না হলেও আমরা অনেকের চেয়ে ভাল আছি: অর্থ উপদেষ্টা


অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘‘দেশের বিদ্যমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য চেষ্টা করছি। এটা বলব না আমরা খুব ভাল আছি। তবে এটা ঠিক, অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা খারাপ নেই। মোটামুটি ভালো আছি। অবশ্যই আমরা একটা কল্যাণমুখী, সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র করার চেষ্টা করছি। তবে সেটা অনেক দূরে। এটা পলিটিক্যাল সরকার করবে।’’

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব। সঞ্চালনা করেন বিএআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘আমাদের প্রবাসীরা ব্যবসা করতে চায় না। তবে ব্যবসা করা কঠিন। সবকিছু তো আমরা করে দেব না। সরকারের আয়-ব্যয়ে ব্যালেন্স করতে হয়। সেটা সব সময় যুক্তিসঙ্গত হবে, তা কিন্তু না। ট্যাক্সের ক্ষেত্রে আপনি দেবেন, লাভবান আপনি হবেন। আমরা চাই, সাধারণ মানুষ যাতে লাভবান হয়। এখন শিক্ষকদের অনেক ডিমান্ড আছে, সেটা আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে দেখব।’’

তিনি বলেন, ‘‘প্রতিদিন যে তারা রাস্তাঘাট আটকে রাখে, এটা সত্য যে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক সরকারের মত শক্তিশালী না। এখন যদি মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়, তখন দোকানিরা দোষ দেওয়া শুরু করে। এসব দিক থেকে আমরা অনেক চাপের মধ্যে আছি। ১০০টি চাপের মধ্যে আমরা ১০টি মানি। যেমন রেলওয়ের ডিমান্ড ওভারটাইম দাও, দিলাম। এরপর বলে লিমিট উঠিয়ে দাও, সেটাও উঠিয়ে দিলাম। কয়েক দিন পর বলবে, চাকরি থাকবে না বেতন দাও? তখন আমি কী করব? সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি।’’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘জনগণের এখতিয়ার মানে রাজনৈতিক সমর্থন, আমরা কিন্তু ক্ষমতায় আসিনি, আমাদের দেওয়া হয়েছে। আমরা যেটা করছি, কিছু কিছু কারণ আছে, সবকিছু ভেবে চিন্তে করছি। এখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা আছে, এখানে রাজনৈতিক ব্যাপার আছে। তাহলে কীভাবে আমরা রাজস্ব ব্যয় কমাব? এক্ষেত্রে আমি পজিটিভ।’’  

তিনি বলেন, ‘‘পেনশনটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সর্বজনীন পেনশন দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখন বিষয়টা হচ্ছে রিসোর্স ও অ্যাওয়ারনেস। আমরা চেষ্টা করছি আরো একটু যুগোপযোগী করার। আর যারা রেমিট্যান্স পাঠায় তাদের জন্য প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। প্রবাসীরা ফিরে আসার পর যেন পেনশনের মতো প্রবাসী বন্ডের ব্যবস্থা করা যায় কি না।’’  

উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এখন ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসছে, সেখানে কিছু প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও কেউ কেউ হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠায়। আমরা ফরেন ট্রেড ওপেন করে দেব। সেখানে সমস্যা হলো দুবাই বসে হুন্ডির মাধ্যমে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমরা তাদেরটা ঠিক রেখে পুরো মার্কেট সেটেলমেন্ট করব।’’





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত