চলতি বছরের শেষভাগে বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় খালের পানি সরবরাহ বেড়ে যায়। এরপর এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। পানি কম থাকায় তার আগে কিছু জাহাজকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফলে অনেক জাহাজের জন্য বিকল্প পথ খোঁজার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়েছিল।
এ সময়ে পানামা খাল দিয়ে দৈনিক গড়ে ২৭ দশমিক ৩টি জাহাজ চলাচল করেছে। এসব জাহাজে মোট ৪২৩ মিলিয়ন বা ৪২ কোটি ৩০ লাখ টন পণ্য পরিবহন করা হয়েছে। গত বছর এসব খাল দিয়ে দৈনিক প্রায় ৩৬টি জাহাজ চলাচল করেছে। কিন্তু এই সময় খালের পরিচালনা ব্যয় ৫ শতাংশ কমানো হয়। ফলে খাল কর্তৃপক্ষ অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়াতে পেরেছে।
পানামা খাল কর্তৃপক্ষের অর্থ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ভিয়াল বলেন, প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খালের আয় ১৮ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ৪ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন বা ৪৯৯ কোটি ডলারে উঠেছে। খাল দিয়ে দৈনিক ৩৬টি জাহাজ চলাচলের অনুমোদন থাকলেও তা হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে খাল কর্তৃপক্ষ জাহাজগুলোকে ফেরাতে প্রণোদনা দিচ্ছে। যেমন বাল্ক ক্যারিয়ার ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ট্যাংকারগুলোর জন্য প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা আবার পানামা খালে ফেরত আসে। খালের আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে আগামী ৭ বছরে ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৮৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে নতুন অবকাঠামো তৈরির প্রকল্পও আছে।