সড়কে গাড়ি রেখে ঘুমিয়ে গেছেন চালক। পেছনের গাড়ি না যেতে পেরে সৃষ্টি হয় যানজট। সেই যানজটে পড়ে ঘুমিয়ে যান পেছনের চালকরাও। আর কিলোমিটারের পর কিলোমিটার তৈরি হতে থাকে যানজট।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোররাত থেকে এই ঘটনা ঘটে। পরে সকালে পুলিশ এসে ঘুম থেকে চালকদের জাগিয়ে যানজট নিরসনে কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও চালকদের সূত্রে জানা গেছে, ভোর ৩টার দিকে অতিরিক্ত কুয়াশা পড়তে থাকে। এতে ঢাকামুখী যানবাহনগুলো সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে। ভেতরে চালকরা ঘুমিয়ে যান। আস্তে আস্তে সড়কের কিছু অংশে ধীরগতির সৃষ্টি হয়। এতে পেছনের চালকরাও গাড়ি দাঁড় করিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে তা রূপ নেয় দীর্ঘ যানজটে।
মহাসড়কের কুটুম্বপুর থেকে গোমতা হয়ে ইলিয়টগঞ্জ বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে যানজট। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে সকালে এসে চালকদের জাগাতে শুরু করে। ইলিয়টগঞ্জ থেকে জাগাতে জাগাতে কুটুম্বপুর পর্যন্ত জাগাতে হয়।
হাইওয়ে পুলিশের ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কৌশিক বাংলা ট্রিবিউনকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ভোর ৩টা থেকে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। চালকরা সড়কে গাড়ি রেখে ঘুমিয়ে পড়েছেন। আমরা সড়কে এসে সবাইকে জাগালাম। অনেককে চিল্লাচিল্লি করে জাগাতে হয়েছে। এখন গাড়ি চলছে তবে কিছুটা যানজট রয়ে গেছে। আমরা কাজ করছি। আশাকরি কিছুক্ষণের মাঝেই তা আর থাকবে না।’