ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ ওঠা ওই রোগীর নাম পারুল বেগম (৫১)। তিনি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের নারী ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। তাঁর স্বজনদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুলে অন্য এক রোগীর ইনজেকশন পারুলের শরীরে দেওয়া হয়। এ কারণে গতকাল সন্ধ্যার পর তাঁর মৃত্যু হয়। এ খবরে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে রাতে ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যেরা।
আহত অবস্থায় রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় ওই নারীর মৃত্যুর খবরে কয়েকজন সাংবাদিক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। এ সময় ভবনের চতুর্থ তলায় উঠলেই বাধা দিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে শতাধিক ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। তাঁদের কেউ চিকিৎসকদের পোশাক পরা ছিলেন না। এ সময় আমাদের পেটাতে পেটাতে ভবনের নিচে নিয়ে যায় তারা।’ জাহিদুর রহমান বলেন, ‘পুরো ঘটনার নেপথ্যে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজ। আমরা তাঁর অপসারণ চাই।’