অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রেস ক্লাবের সামনে মিছিল ও লিফলেট বিতরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক আবু হাসিব মুক্তসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বাকি দুই আসামি হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ (২৮) ও ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সাইফুজ্জামান রুবেল (৩৫)।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আসামিদের আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানার মামলার সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক কেএম রেজাউল করিম। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারাজানা ইয়াসমিন রাখি তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কতিপয় সদস্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের উদ্দেশ্যে মিছিল ও লিফলেট বিতরণ করে। লিফলেট বিতরণসহ আসামিরা বিভিন্ন স্লোগানে মিছিল দিয়ে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করা, সরকার তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধনের লক্ষ্যে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে জনগণের সম্মুখে কালো আইন বাতিল, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়েছে। এ ঘটনায় গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।
পরে গত ৪ ফেব্রুয়ারী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৫ নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ৬ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে মুক্তসহ তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।