মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নেই। আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে এখন শেষ পর্যায়ের প্রচারে ব্যস্ত দুই প্রার্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচনের দিকে সারা বিশ্ব নজর রাখছে। সবার আগ্রহ, কে হতে যাচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কমলা নাকি ট্রাম্প?
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরেক পরাশক্তি চীনের দ্বন্দ্ব তীব্র হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে চীনা জনগণের গভীর আগ্রহ যেমন আছে, তেমনি রয়েছে উদ্বেগও। তাঁরাও এই নির্বাচনের দিকে তীক্ষ্ণদৃষ্টি রাখছেন।
নির্বাচনে জিতে যিনিই হোয়াইট হাউসে যান না কেন, নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগমনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কী ঘটতে পারে, তা নিয়ে চীনা নাগরিকেরা উদ্বিগ্ন।
এ প্রসঙ্গে জিয়াং নামের এক চীনা নাগরিক বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা কেউ যুদ্ধ দেখতে চাই না।’
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের রিতান পার্ক। এখানে সম্প্রতি অন্য জ্যেষ্ঠ চীনা নাগরিকদের সঙ্গে নাচ শিখতে এসেছিলেন জিয়াং। তাঁরা এখানে নিয়মিতই জড়ো হন। পার্কটির অবস্থান বেইজিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবন থেকে মাত্র কয়েক শ মিটার দূরে।
পার্কে আসা ব্যক্তিদের ভাবনায় নতুন নাচের মুদ্রা শেখার বিষয়টি যেমন আছে, তেমনি আছে আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের প্রসঙ্গ।
এমন একসময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হচ্ছে, যখন দুই পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তাইওয়ান, বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে উত্তেজনা চলছে।
জিয়াংয়ের বয়স ষাটের ঘরে। তিনি বলেন, ‘চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কে টানাপোড়েন বাড়ছে দেখে আমি চিন্তিত। আমরা শান্তি চাই।’