আইপিএলে বছরটা অসাধ্য সাধনের জন্যই বেছে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দশ বছরের মধ্যে এবারই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারানোর কৃতিত্ব দেখিয়েছে তারা। জিতেছে ১২ রানে। কিছুদিন আগে চেন্নাই সুপার কিংসকেও ১৭ বছরে প্রথমবার চিপক স্টেডিয়ামে হারানোর স্বাদ পেয়েছে।
শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ২২১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বেঙ্গালুরু। জবাবে মুম্বাইয়ের হয়ে ভর ধরাতে পেরেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া ও তিলক বার্মা। ১২ ওভারে ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ৩৪ বলে ঝড়ো গতিতে খেলে ৮৯ রান যোগ করে ফেলেছিলেন তারা। তাদের ঝড়েই ৮ ওভারে ১২৩ রান থেকে শেষ তিন ওভারে সমীকরণ নেমে আসে ৪১ রানে। সেখান থেকে ডিফেন্সিভ মাস্টার ক্লাসের অনন্য প্রদর্শনীতে মুম্বাকে রুখে দেওয়ার কৃতিত্ব বেঙ্গালুরুর তিন বোলার ভুবনেশ্বর কুমার, জশ হ্যাজেল উড ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার। তিলক বার্মা ২৯ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেছেন ৫৬ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস। ১৭.৪ ওভারে তার বিদায়ে ঘটে ছন্দ পতন। পরের ওভারে ফিরে যান হার্দিক পান্ডিয়াও। ফেরার আগে মুম্বাই অধিনায়ক ১৫ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় উপহার দেন ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংস। দু’জনের বিদায় মূলত লড়াইয়ের ইতি টেনে দিয়েছে। মুম্বাই শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে থামে ২০৯ রানে।
ক্রুনাল ৪৫ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুটি করে নিয়েছেন যশ দয়াল ও জশ হ্যাজেলউড। ভুবনেশ্বর নিয়েছেন একটি।
এর আগে বিরাট কোহলি, দেবদূত পাডিক্কাল, রজত পতিদার ও জিতেশ শর্মার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২২১ রানের সংগ্রহ পায় বেঙ্গালুরু। ৪২ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রানে শুরুর মঞ্চ গড়ে দেন কোহলি। জসপ্রীত বুমরার প্রত্যাবর্তন ও হার্দিকের তিনটি দুর্দান্ত ওভারের পরও আলো কেড়ে নেন তিনি। ২০১৯ সালের পর দ্রুততম ফিফটি তুলে নিয়েছেন। ২০১৮ সালের পর এবারই প্রথম ৩০ বলের নিচে অর্ধ শতকের দেখা পেয়েছেন কোহলি। তার ইনটেন্টই মূলত পতিদারকে শুরুতে সতর্ক থাকতে পারার সুযোগ করে দিয়েছে। তার পরেই সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী ভূমিকায় ছিলেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। কোহলির আউটের পর বাকি পথটা সামাল দিতে খেলেছেন ৩২ বলে ৬৪ রানের ম্যাচসেরা ইনিংস। তাতে ছিল ৫টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। জিতেশের ১৯ বলে করা অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৪টি ছয়। তাছাড়া শুরুর দিকে পাডিক্কাল ২২ বলে ৩৭ রানে অবদান রেখেছেন।
মুম্বাইয়ের হয়ে ৪৫ রানে দুটি উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৫৭ রানে দুটি নেন ট্রেন্ট বোল্টও।