জনগণের প্রশ্ন, অর্থনীতির ক্ষেত্রে যদি অন্তর্বর্তী সরকার আগের সরকারের মতোই কাজ করে থাকে, তাহলে জুলাই-আগস্টে এত বড় গণ-অভ্যুত্থান কেন ঘটল? কেন এত মানুষ জীবন দিলেন? বৈষম্যবিরোধী স্লোগান সামনে রেখে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান হলেও অর্থনৈতিক বৈষম্য রোধে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় সরকারের মনোযোগ কম উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রণীত বাজেটের অধীনই পরিচালিত হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত বাজেট পেশ না করায় আগের বাজেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সূচকই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। ফলে যারা কর দেয় না, তাদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—জানা গেল না, যা চিন্তিত করেছে। আগামী গ্রীষ্মকালে জ্বালানি পরিস্থিতি আরও জটিল হবে বলেও আশঙ্কা করছেন এই অর্থনীতিবিদ।
বিশ্বব্যাংক ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ (বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা) শীর্ষক প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ১ শতাংশে নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) অর্থনীতিতে পাঁচটি ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে—উচ্চ মূল্যস্ফীতি, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া (বন্যা, তাপপ্রবাহ), দূষণ (বায়ু, পানি, মাটি), বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব এবং অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা (মন্দা, স্থবিরতা)। এর মধ্যে সবগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে বাস্তবমুখী ও গণবান্ধব কর্মসূচি তো নিতে পারে।