দুবার দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়িয়ে ৯ গোলের থ্রিলার জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। এভাবে ঘুরে দাঁড়ানো ফুটবলে অবিশ্বাস্য ব্যাপার। ৫-৪ গোলে এমন জয়ের পর বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিকের কাছেও ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে!
বিশ্বাস না হওয়ারই কথা। ৬৩ মিনিট পর্যন্ত ৩-১ গোলে পিছিয়ে ছিল বার্সেলোনা। ৬৪ মিনিটে ব্যবধান কমান রাফিনিয়া। রক্ষণে বার্সার আরেকটি ভুলে বেনফিকা চার মিনিট পর আবার দুই গোলে এগিয়ে যায়। রোনাল্ড আরাউহো আত্মঘাতী গোল করেন। ৭৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে জাল কাঁপান লেভান্ডোভস্কি।
নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে পেদ্রির ক্রসে এরিক গার্সিয়ার লাফানো হেডে বার্সা সমতা ফেরায়। ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে রাফিনিয়া জাল কাঁপালে বার্সা পায় অবিশ্বাস্য এক জয়। ম্যাচের পর এমন পারফরম্যান্সকে পাগলাটে বলে তকমা দেন ফ্লিক। বলেছেন, এমন প্রত্যাবর্তন আগে দেখেননি তিনি, ‘পাগলাটে একটা ম্যাচ হয়েছে। সবচেয়ে ভালো দিক ছিল মানসিকতা। এটাই ফুটবল। আমার মনে হয় না এরকম প্রত্যাবর্তন কখনও দেখেছি।’
গোলকিপার হিসেবে এদিন দায়িত্ব পালন করেছেন ভয়চেক সেজনি। পোলিশ এই গোলকিপারের ভুলে দুটি গোল হজম করে বার্সা। তবে তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাইলেন না ফ্লিক, ‘কার না ভুল হয় বলুন। আমরা সবাই ভুল করি। আমরা সবাই একসঙ্গে হারি, জিতি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে যেমনটা দেখেছি সেটা খুব ভালো লেগেছে।’