যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে শুক্রবার (২১ মার্চ) এ পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার রাতে প্রকাশিত এক স্মারকে ট্রাম্প বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গের রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্যে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত বলে আমি মনে করি না।
ছাড়পত্র বাতিলের মারাত্মক বা তাৎক্ষণিক প্রভাব না থাকলেও ওয়াশিংটনে রাজনৈতিক টানাপড়েনের একটি চিত্র ফুটে ওঠে। এসব ঘটনা প্রমাণ করছে, ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বীর ওপর শোধ নিতে পিছপা হন না।
এর আগে আরও কয়েকজন ব্যক্তির ছাড়পত্র বাতিল করেছেন ট্রাম্প। তাদের মধ্যে রয়েছেন রিপাবলিকান দলের সাবেক কংগ্রেস সদস্য লিজ চেনি, বাইডেন প্রশাসনের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান এবং রাশিয়া বিশেষজ্ঞ ফিওনা হিল।
এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন হুইসেল ব্লোয়ারদের প্রতিনিধি ও ওয়াশিংটনের জাতীয় নিরাপত্তা আইনজীবী মার্ক জেইড এবং ট্রাম্পের কড়া সমালোচক ও সাবেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা অ্যাডাম কিনজিংগার।
ক্ষমতায় বসার কিছুদিন পরই সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছিলেন ট্রাম্প। প্রথাগতভাবে সাবেক প্রেসিডেন্টরা গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ে উপস্থিত হতে পারেন। এসময় নতুন প্রেসিডেন্টদের তারা নিজ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দিকনির্দেশনা দিতে পারেন। তবে বাইডেনের কাছ থেকে সে সুযোগ কেড়ে নিতে সময় নেননি ট্রাম্প।
তবে, এই খেলা শুরুটা করেছিলেন বাইডেন। ২০২১ তখনকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে হোয়াইট হাউজের মসনদে বসার পর ট্রাম্পের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছিলেন বাইডেন।