ক্লাব ক্রিকেটে সবচেয়ে জমজমাট আসর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। আগামী ৩ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। লিগে বড় আমেজ থাকে বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে। একটা সময়ে তিনজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলানোর সুযোগ পেতো প্রত্যেক ক্লাব। আর শেষ কয়েক বছরে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে একজন বিদেশি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। তবে প্রতিযোগিতার গত আসর থেকে বিদেশি ক্রিকেটারকে খেলানোর রীতি বাদ দিয়েছে সিসিডিএম। এবারও সেই একই সিদ্ধান্তে অটল আয়োজকরা। জানা গেছে, ক্লাবগুলোর চাওয়ার প্রেক্ষিতে বিদেশি ক্রিকেটার না খেলানোর সিদ্ধান্ত সিসিডিএমের।
১২টি ক্লাব নিয়ে তিন ভেন্যুতে শুরু হবে পঞ্চাশ ওভারের এই প্রতিযোগিতা। এজন্য দলবদল হবে আগামী ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি। সিসিডিএম সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। দল-বদলের সময়টাতে অবশ্য জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ব্যস্ত থাকবেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে। যদিও বেশিরভাগ তারকা ক্রিকেটার ইতোমধ্যে দল বদল করে ফেলেছেন। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ছেড়ে মোহামেডানে নাম লিখিয়েছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম। মাহমুদউল্লাহ আগে থেকেই আছেন এই দলে। জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত খেলবেন আবাহনীর হয়ে।
আবাহনী শেষ কয়েক বছর জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েছে। দেশের ক্ষমতার পালাবদলে দলটি সেই অবস্থায় নেই। লিটন, তাসকিন, তানজিম সাকিব, তানভীর ইসলামরা এরই মধ্যে নতুন দল নিশ্চিত করেছেন।
বিদেশি ক্রিকেটারদের লিগে খেলানো নিয়ে বৈঠকে বেশ আলোচনা হয়েছিল। কিছু ক্লাব কর্মকর্তারা তাদের ফিরিয়ে আনার পক্ষে থাকলেও, সিসিডিএম এবং ক্লাবগুলোর মধ্যে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এই বছর ডিপিএলে বিদেশি খেলোয়াড়দের স্থান হবে না। সিসিডিএম-এর এক কর্মকর্তা জানান, ‘এই বছর নয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্থানীয় খেলোয়াড়দের আরও সুযোগ দেওয়ার। তাদের জন্য এটি আরও উপকারী হবে।’
সিসিডিএম-এর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সদ্য পদত্যাগ করা জাতীয় নির্বাচক ও আবাহনী কোচ হান্নান সরকার। তিনি বলেছেন, ‘গত দুই-তিন বছরে বিদেশি খেলোয়াড়দের মান কমে গেছে। আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়রা তাদের থেকে বেশি পিছিয়ে নেই, তাই আমাদের ক্রিকেটারদের আরও সুযোগ দেওয়া উচিত।’