কারাগারে থাকা জামায়াত নেতা এটিএম আজাহারুল ইসলামের মুক্তি দাবি করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই নেতার মুক্তি না দিলে সারা বাংলাদেশে সর্বত্র আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মীরবাগ ডিগ্রি কলেজ মাঠে জামায়াতের যুব বিভাগ আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধ অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরবর্তী সময়ে আপিল বিভাগের রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আবেদন করেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম। এখন সেই রিভিউ আবেদন শুনানি ও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।
জামায়াত আমির বলেন, ‘আপনাদের প্রিয় মানুষ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম পরিচ্ছন্ন চরিত্রের মানুষ, দেশপ্রেমিক নেতা- এখনও বন্দিশালায়। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার তাকে কারাগারে ঢুকিয়েছিল। আমরা বিস্মিত, ফ্যাসিস্ট পালিয়ে গেছে, কিন্তু আমাদের আজহার ভাই এখনও জেলের ভেতরে আছে। বিচারের নামে আমরা কোনও গড়িমসি দেখতে চাই না- আমাদের স্পষ্ট কথা। আজহার ভাইয়ের ওপর ইনসাফ করে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিন। যদি ফিরিয়ে না দেন তাহলে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো। বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া জাফলং থেকে পাথুরিয়া সর্বত্র ব্যাপক দাবানল জ্বলে উঠবে।’
কাউনিয়া উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও রংপুর দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালনা সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর মহানগর আমির উপাধ্যক্ষ এ টি এম আজম খান, জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রব্বানীসহ স্থানীয় উপজেলা ও জেলা নেতৃবৃন্দ।