Homeদেশের গণমাধ্যমেএক মেয়েকে উত্ত্যক্তর জেরে শেরপুরের দুই গ্রামে দুইদিন ধরে সংঘর্ষ

এক মেয়েকে উত্ত্যক্তর জেরে শেরপুরের দুই গ্রামে দুইদিন ধরে সংঘর্ষ



শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩১, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  

সংঘর্ষের কারণে বন্ধ হয়ে যায় বাজারের দোকানপাট


শেরপুরে বনভোজনের বাসে থাকা এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। 

শুক্রবার রাতে ও শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৭ জনকে আটক করে।

 

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সদর উপজেলার কান্দাশেরীরচর এলাকায় শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে একটি সূর্যমুখীর বাগানে দর্শনার্থীদের ভিড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় যানজটে আটকে থাকা বনভোজনের বাসে এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে সদরের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের এক যুবক। পরে কান্দাশেরীরচর গ্রামের কয়েকজন যুবক মিলে ওই উত্ত্যক্তকারীকে মারধর করে। এরপর কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের লোকজন খবর পেয়ে দলবেঁধে কান্দাশেরীরচর গ্রামে হামলা চালালে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এর পর থেকেই শুরু হয় দুই এলাকার দ্বন্দ্ব। এতে শুক্রবার রাতে কুসুমহাটি বাজারে দোকানপাট ভাঙচুর হয়। 

সশস্ত্র হামলায় বাজারের দোকানপাটে ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন

এর জের ধরে পরদিন (শনিবার) সকালেও কান্দাশেরীরচর ও কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের দুই পক্ষের মানুষ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়। দফায় দফায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক দফায় দফায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। সংঘর্ষে দুপক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের অভিযানে এ সময় ৭ জনকে আটক করা হয়। বন্ধ হয়ে যায় বাজারের দোকানপাট।

এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেরপুর জেলার মুখ্য সংগঠক মোর্শেদ জিতু বলেন, “সামান্য ঘটনার জের ধরে এতো বড় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ঠিক নয়। একটা পক্ষ এদেরকে উস্কে দিয়ে শান্ত শেরপুরকে অশান্ত করছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে কাজ করছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। সেই সাথে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতেই পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। পরদিনও মাইকিং করে দুই পক্ষ জড়ো হয়েছিলো। পরে পুলিশ মোতায়েন করে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।” 

ঢাকা/তারিকুল/টিপু





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত