Homeদেশের গণমাধ্যমেএকসময় সবই ছিল, এখন টুথপিকের আয়েই চলে জীবন

একসময় সবই ছিল, এখন টুথপিকের আয়েই চলে জীবন


লতিফ জানান, সংসারে ছয় সন্তান তাঁর। পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে। সবার ছোট ছেলে এরশাদ ১৯৯৪ সালে বাজারে গিয়ে হারিয়ে যায়। চার মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। প্রতিবন্ধী মেয়ে হালিমা ও স্ত্রী ছিদ্দিকাকে নিয়ে তিন সদস্যের সংসার তাঁর। ৭ বছর ধরে বাঁশ কিনে বাড়িতে খিলাল তৈরি করে রংপুর শহর, তারাগঞ্জসহ বিভিন্ন বাজারের হোটেলে বিক্রি করেন তিনি। এতে যা আয় হয়, তা দিয়ে চলছে তাঁর সংসার। একটি বাঁশ দেড় শ টাকায় কিনলে তা দিয়ে খলিল তৈরি করে ৪০০ টাকা বিক্রি করেন।

লতিফের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙাচোরা ঘরের উঠানে বসে পরম মমতায় বাঁশ দিয়ে দাঁতখিলাল তৈরিতে ব্যস্ত তিনি। স্ত্রী ছিদ্দিকা বেগম তাঁকে সহযোগিতা করছেন। উঠানে বস্তার ওপর রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে বাঁশের দাঁতখিলাল। সেগুলো পাহারা দিচ্ছেন প্রতিবন্ধী মেয়ে হালিমা।

স্ত্রী ছিদ্দিকা বেগম বলেন, ‘আল্লাহ কখন কার কপালে কী রেখেছেন, তা তিনিই ভালো জানেন। একসময় গোয়ালভরা গরু, ডুলিভরা ধান ছিল। ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে সব শেষ। আজ আমাদের দেখার কেউ নেই। বাঁচার জন্য খাওয়া দরকার। সে জন্য স্বামীকে বাঁশের খিলাল তৈরি করে দিচ্ছি। খিলাল বিক্রি করে ভাত-কাপড় জুটছে। আমাদের বাঁশের খিলালের চাহিদা ভালো।’



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত