জামিল আহমেদ: সংস্কৃতিকর্মী ও শিক্ষক হিসেবে এ দেশে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি প্রায় ৫০ বছর ধরে কাজ করছি। আমাকে এসে কেউ বলুক যে আমি একজন মিথ্যাবাদী? আমি ঘোরপ্যাঁচের লোক নই। পেছনেও কথা বলি না। আমি চোখে চোখ রেখে সামনাসামনি কথা বলতে শিখেছি। তা-ই চর্চা করি। সংস্কৃতি উপদেষ্টা আমার বক্তব্যের জেরে যা বলেছেন, হয় তিনি তা অনুধাবন করতে পরেননি, কিংবা সেটা বুঝতে পেরে নিজের দায় এড়ানোর জন্য সত্য-মিথ্যার সংজ্ঞা জাহির করেছেন। আমি যা বলেছি তাতে একবিন্দুও মিথ্যা নেই। এর সবটুকুই সত্য।পরিস্থিতি আমি ডিল করতে পারিনি বলে হতাশ হয়েছি, এই যদি হয় তাঁর বক্তব্য, তাহলে তিনি পরিস্থিতিও বোঝেননি, হতাশাও চিনতে পারেননি। আর ‘ডিল করা’ বলতে যা বোঝায়, তা-ও তিনি বোঝেননি। বরং সংস্কৃতি উপদেষ্টাই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি। বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি তার বড় প্রমাণ। তিনি উপদেষ্টার পদে থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গৌরবময় ওই প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বাংলা একাডেমি থেকে কারও কারও পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। এসব সবারই স্মরণে রয়েছে। এক কঠিন দুঃসময়ে, একটা স্তব্ধতার মধ্যে আমি দায়িত্ব নিয়ে সারা দেশে বহুমুখী সাংস্কৃতিক চর্চায় উৎসবের সূচনা ঘটিয়েছি। এ পর্যন্ত ৩২টি জেলায় গিয়েছি। শিল্পকলা একাডেমি এবং স্থানীয় শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী ও মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে উজ্জীবিত করেছি। সংলাপের সূচনা ঘটিয়ে প্লুরালিস্টিক ডেমোক্রেটিক কালচারাল জোয়ার বইতে শুরু করেছে। সেই কঠিন সময়কে আমি জয় করে কাজ করেছি। যখন সবাই বলছে ডানপন্থা, উগ্রবাদ বাংলাদেশ দখল করে নিয়েছে, শিল্পকলা একাডেমির দেশব্যাপী বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড প্রমাণ করেছে বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক প্লাবন এসেছে।