ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। এরই মধ্যে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেছেন নাগরিকরা।
সোমবার ( ০৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর জেরুজালেমের বাসভবনের বাইরে জিম্মি পরিবার ও তাদের সমর্থকরা বিক্ষোভ করছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা সীমান্তে হামলার দেড় বছর পূর্তিতে এই প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা গাজায় আটক থাকা ৫৯ জিম্মির ছবি প্রদর্শন করেন।
৭ অক্টোবর নিহত তামির আদারের ভাতিজা এরেজ আদার প্রধানমন্ত্রীকে একসঙ্গে সব জিম্মি মুক্তির চুক্তি করতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এটি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেঁচে থাকাদের পুনর্বাসন ও মৃতদের সমাহিত করার জন্য সবার ফিরে আসা প্রয়োজন, যাতে আমরা এখানে একটি ভালো ভবিষ্যৎ গড়তে পারি।
জিম্মি এদান আলেকজান্ডারের দাদি ভার্দা বেন বারুক নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে রয়েছেন। সেখানে বসেই সবার মুক্তির চুক্তি শেষ করুন। আমরা এটাই আশা করছি।
জিম্মি অবস্থায় নিহত কারমেল গ্যাটের চাচাতো ভাই গিল ডিকম্যান সতর্ক করে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প- দয়া করুন। দেড় বছর পার হয়েছে। এখন কেবল একটি শব্দই বলার আছে- যথেষ্ট হয়েছে, এই দুঃস্বপ্নের অবসান হোক। তিনি বলেন, অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে বেঁচে থাকা জিম্মিদের জীবন ঝুঁকিতে থাকবে।
নেতানিয়াহুর পাশাপাশি মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের বাসার বাইরেও একই ধরনের বিক্ষোভ চলছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। জিম্মি মুক্তির আলোচনা চললেও এখনো কোনো চূড়ান্ত সমাধান হয়নি। নেতানিয়াহু ও তার সরকারের সমালোচকরা অভিযোগ করছেন, রাজনৈতিক অনীহার কারণে জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।