Homeদেশের গণমাধ্যমেউত্তরবঙ্গের মানুষকে কাজের সন্ধানে আর ঢাকায় আসতে হবে না

উত্তরবঙ্গের মানুষকে কাজের সন্ধানে আর ঢাকায় আসতে হবে না


রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসকে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ কারখানা হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী। পাশাপাশি কারখানাটিতে আগামী দুই বছরের মধ্যে পাঁচ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, উত্তরবঙ্গের মানুষকে কাজের সন্ধানে আর ঢাকায় আসতে হবে না।

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) দুটি টেক্সটাইল মিল (বস্ত্রকল) পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল। এ লক্ষ্যে বিটিএমসি ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রাণ গ্রুপের প্রধান এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন

এদিন পিপিপির মাধ্যমে চট্টগ্রাম আর আর টেক্সটাইল মিলস ও রাজশাহী টেক্সটাইল মিলস প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের দুই অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এগুলো হলো চট্টগ্রাম আর আর টেক্সটাইল লিমিটেড ও বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিমিটেড।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমরা আশা করছি রাজশাহীর মিল অচিরেই চালু হবে। আশা করি পাঁচ বছরের অনেক আগেই এই মিলটিতে পাঁচ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এ মিলটি উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ কারখানা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এসব মিলে এক ইঞ্চি জায়গাও খালি রাখা হবে না। কারখানার পাশাপাশি যে জায়গা খালি থাকবে সেখানে সোলার প্যানেল হবে। ভাড়ার টাকা নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে চলে আসবে। আমরা গ্রিন ফ্যাক্টরি করতে চাই।

তিনি বলেন, আশা করি আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারবো। উত্তরবঙ্গের মানুষ উত্তরবঙ্গে কাজ করবে। কাজের সন্ধানে তাদের ঢাকায় আসা লাগবে না। রাজশাহীর ওই মিলে দুটি স্কুল আছে। সেগুলোকে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।

চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর কারখানা দুটিতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে জানিয়ে প্রাণ গ্রুপের প্রধান বলেন, মিলগুলো চালু হলে দেশের উপকার হবে। দেশ এগিয়ে যাবে। এ দুটি নিয়ে বিটিএমসির তিনটি মিল আমরা নিলাম। এই দুটি মিল ঘিরে আমাদের অনেক পরিকল্পনা আছে। শুধু ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে কর্মসংস্থান নয়, সারাদেশে আমরা কর্মসংস্থান করতে চাই।

আরও পড়ুন

আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমি যখন মিলগুলোতে গেলাম তখন অনেক মানুষকে দেখেছি তারা সেখানে কাজ করতো। তাদের দেখে কষ্ট লাগে। এই সরকার চলে যাওয়ার আগে আমরা যেন মিল দুটি পূর্ণাঙ্গভাবে জীবিত করতে পারি।

দেশের শীর্ষ এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, আমাদের সম্পদ সীমিত। এই সম্পদ যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে দেশের উন্নয়ন হবে। আমরা ৩০ বছরের জন্য কারখানা দুটি পেয়েছি। আরও ১০ বছর মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ আছে। আমার বিশ্বাস, আমরা সুষ্ঠুভাবে কারখানা দুটি চালাতে পারবো।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ এবং বিটিএমসির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসএম/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত