Homeদেশের গণমাধ্যমেউইঘুর মুসলিম ও তিব্বতিদের  মানবাধিকারের স্বচ্ছতা চায় পশ্চিমারা

উইঘুর মুসলিম ও তিব্বতিদের  মানবাধিকারের স্বচ্ছতা চায় পশ্চিমারা


জোর করে আটক উইঘুর মুসলিম ও তিব্বতিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর একটি দল। এমনকি পরিস্থিতির মূল্যায়নে নিরপেক্ষ মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের সে সব স্থান পরিদর্শনের অনুমতি দিতে চীনকে আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলো। মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই আহ্বান জানানো হয়। (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জার্মান সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা এই খবর জানিয়েছে।

জাতিসংঘের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি ও জাপানসহ ১৫টি রাষ্ট্রের পক্ষে একটি বিবৃতিটি দেন অস্ট্রলিয়ায় জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত জেমস লার্সন। ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘স্বচ্ছতা ও স্পষ্টতা উদ্বেগ নিরসনের চাবিকাঠি। তাই আমরা চীনকে জাতিসংঘসহ নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের জিনজিয়াং ও তিব্বতে বিনা বাধায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত এলাকা জিনজিয়াং। সেখানে সংখ্যালঘু উইঘুর ও তুর্কি ভাষী মানুষ বসবাস করেন।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, চীন জিনজিয়াং-এর, রিএডুকেশন ক্যম্পে’ ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে বন্দি করে রেখেছে। এমনকি, তিব্বতে স্বাধীনতার বিরুদ্ধেও অভিযান চালিয়েছে চীন।

জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনও তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত। সেগুলোতে জিনজিয়াংয়ে মানুষদের ব্যাপকভাবে জোর করে আটকে রাখা, জোর করে গুম করা, বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োগ এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থানগুলো ধ্বংস করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

জুলাইয়ে ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউর জুলাই সংস্করণে লার্সেন বলেন, “তিসংঘের প্রতিষ্ঠিত উদ্বেগগুলোর অর্থবহ সমাধান করার অনেক সুযোগ ছিল চীনের। তবে তা না করে দেশটি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের দফতরে মূল্যায়নকে ‘অবৈধ ও ভুয়া’ বলে অভিহিত করেছে।”

তিনি বলেন, তিব্বতিদেরও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে চীন। তাদের ভাষা, সংস্কতি, শিক্ষা ও ধর্মীয় অধিকারকে মুছে ফেলা হচ্ছে। এমনকি তাদের ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

তবে চীনা রাষ্ট্রদূত এই সব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে পশ্চিমা গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে দ্বন্দ্বে উস্কানি দিতে মানবাধিকারকে ‘অস্ত্র হিসেবে’ ব্যবহার করছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন।

ওই কমিটিকে চীনা রাষ্ট্রদূত ফু চং বলেন, ‘জিনজিয়াংয়ের তথাকথিত মূল্যায়ন মিথ্যা ও প্রতারণায় পরিপূর্ণ। এটি মূলত জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতরের যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য কিছু দেশের চাপের ফল।’

জিনজিয়াংয়ে চীনের কর্মকান্ডকে গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য অনেক দেশ। তবে এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে আসছে চীন।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত