গত জুন মাসে জার্মান পার্লামেন্ট একটি নতুন নাগরিকত্ব আইন পাস করে। সেখানে নাগরিকত্ব প্রার্থীদের জন্য একটি ‘ইহুদিবিরোধিতা পরীক্ষা’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, যাঁদের ‘ইহুদিবিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে বা যাঁরা জার্মানির ‘রাষ্ট্রের নীতি’ অর্থাৎ ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয় বলে বিবেচিত হবেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।
ইন্টারন্যাশনাল হলোকাস্ট রিমেমব্রেন্স অ্যালায়েন্সের (আইএইচআরএ) বিতর্কিত সংজ্ঞাকে (যা ইহুদিবিরোধিতার সঙ্গে ইহুদিবাদবিরোধিতাকে গুলিয়ে ফেলে) এই মানদণ্ডের ভিত্তি ধরা হয়েছে।
যদি কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি’র মতো স্লোগান সমর্থন করা কোনো পোস্টে লাইক দেয় বা ইসরায়েলকে শিশুহত্যা করার অভিযোগ করে দেওয়া পোস্টে সাড়া দেয়, তাহলে তার নাগরিকত্বের আবেদন বাতিল করার জন্য সেটাই যথেষ্ট হতে পারে।
জার্মানিতে দ্বৈত নাগরিকদের ক্ষেত্রেও সুরক্ষার নিশ্চয়তা নেই। কারণ, জার্মান আইন অনুযায়ী, নাগরিকত্ব পাওয়ার ১০ বছর পর্যন্ত সেটি বাতিল করার অধিকার সরকারের রয়েছে।
গত অক্টোবরে জার্মান আইনপ্রণেতারা নতুন অভিবাসন নীতিমালাও অনুমোদন করেছেন। এটি রাষ্ট্রকে শরণার্থীদের ‘ইহুদিবিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত করা সাপেক্ষে তাদের শরণার্থী মর্যাদা বাতিল করার ক্ষমতা দিয়েছে।