Homeদেশের গণমাধ্যমেইউনের আটকাদেশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সমর্থকদের ভাঙচুর

ইউনের আটকাদেশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সমর্থকদের ভাঙচুর


দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে হেফাজতে রাখার সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে আদালত। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ইউনের সমর্থকরা রবিবার (১৯ জানুয়ারি) আদালত প্রাঙ্গণে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর চালিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

শনিবার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা শুনানি শেষে, ইউনের উপস্থিতিতেই তাকে আরও ২০ দিন হেফাজতে রাখার জন্য তদন্তকারীদের অনুমতি দেন আদালত। অভিযুক্ত প্রেসিডেন্ট প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন, এই আশঙ্কায় তার আটকাদেশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

গত ৩ ডিসেম্বর দেশে সামরিক আইন জারিকে কেন্দ্র করে অভিশংসিত হন ইউন। সামরিক আইন প্রয়োগের জেরে তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারীদের তলব ও মামলার শুনানিতে একাধিকবার উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। তাকে গ্রেফতার প্রচেষ্টাও প্রেসিডেনশিয়াল গার্ড দিয়ে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষ প্রায় তিন হাজার পুলিশ তার বাসভবনের সামনে উপস্থিত হলে ‘অহেতুক রক্তপাত’ এড়াতে তদন্তকারীদের সঙ্গে কার্যালয়ে যান ইউন। যদিও কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।

রবিবার স্থানীয় সময় ভোর তিনটার সময় আদালতের সিদ্ধান্ত জানার সঙ্গে সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন ইউনের সমর্থকরা। তাদের সামাল দিতে হিমশিম খায় দাঙ্গা পুলিশ।

ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্রবেশদ্বারের পাহারায় থাকা পুলিশের ওপর অগ্নিনির্বাপক ছুঁড়ে আগে রাস্তা খালি করেন কয়েকজন বিক্ষোভকারী। এরপর দলে দলে আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে ভবনের ভেতরে থাকা আসবাবপত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ভাঙচুর করে।

কয়েকঘণ্টার প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৬ জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে তারা। দাঙ্গাকারী অন্যান্য ব্যক্তিদেরও খুঁজে বের করা হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক এক বিবৃতিতে বলেছেন, গণতান্ত্রিক সমাজে এই ধরনের অবৈধ সহিংসতা কল্পনা করা যায় না। এই ঘটনায় সরকার গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করছে। এখন থেকে যে কোনও সমাবেশে বাড়তি নিরাপত্তা ও সতর্কতা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে কর্তৃপক্ষ।

দেশটির বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, দাঙ্গার নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশের নয় সদস্য আহত হয়েছেন। অবশ্য আহতদের বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পায়নি রয়টার্স।

সিউল ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের নিকটবর্তী জরুরি পরিষেবা এক সংস্থা জানিয়েছে, অন্তত ৪০ জন হালকা আঘাত পেয়েছেন।

রবিবার সকালে ইউনের হাজারো সমর্থক সুশৃঙ্খলভাবে এক মিছিল করেছেন। গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীজুড়ে ইউন-বিরোধী মিছিলও বের করছেন অনেকে।  





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত