গত ১ আগস্ট ‘মানুষের মৃত্যু সন্ত্রাসীদের গুলিতে, বলছে পুলিশ’ শিরোনামে প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ঢাকায় পুলিশের করা ৩৪টি মামলার বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছিল। বেশির ভাগ মামলার এজাহারের শেষাংশে বর্ণনা ছিল প্রায় একই রকম। বলা হয়েছিল, বিএনপি ও জামায়াত এবং তাদের অঙ্গসংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নির্দেশে সন্ত্রাসী অথবা দুষ্কৃতকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে। হত্যার ঘটনা ঘটেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে থাকা সন্ত্রাসী বা দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। এরপর নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরাও মামলা করেছেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশ বাদী হয়ে করা ৩৫টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে গত অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে গত বুধবার বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পুলিশ আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তখন মামলা করেছিল। মামলা দায়ের ছিল ত্রুটিপূর্ণ। যেহেতু শেখ হাসিনার পতনের পর স্বজন হারানো পরিবারগুলোর অনেকে আদালতে মামলা করেছেন, সেগুলোর তদন্ত চলমান, সেহেতু পুলিশের আগের করা মামলাগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।