টপ অর্ডারের দুই ফিফটিতে লখনউ সুপার জায়ান্টস ২১০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। সেই লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে তাদের টপ অর্ডারের বেহাল দশা। একশ থেকে বহুদূরে থাকতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপাকে দিল্লি। আশুতোষ শর্মা ও ভিপরাজ নিগাম পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি গড়ে লড়াইয়ে ফেরালেন দলকে। কিন্তু দুইশ ছোঁয়ার আগেই নেই ৯ উইকেট! সেখান থেকে আশুতোষ একার লড়াইয়ে নাটকীয় জয় এনে দিলেন। ইনিংসের তিন বল ও এক উইকেট বাকি থাকতে লখনউর হৃদয় ভেঙে দিল্লির আইপিএল শুরু হলো অবিশ্বাস্য জয়ে।
লখনউর নিকোলাস পুরান ও মিচেল মার্শ ৬৬ বলে ১৪৭ রান করেন। দলের বাকিরা ৫৫ বল খেলে করেছে ৫৫ রান। দলটির হয়ে অভিষেকে সাবেক দলের বিপক্ষে শূন্যতে আউট হন রিশাভ পান্ত। তার আগে বিশাখাপত্নমে মার্শ ও পুরান যেভাবে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন, তাতে লখনউর স্কোর আড়াইশর বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু শেষ দিকে দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলাররা পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পেয়েছিল। ৮ উইকেটে ২০৯ রানে লখনউকে বেঁধে ফেলে তারা। মার্শ ৩৬ বলে ৭২ রান করেন। আর পুরানের ব্যাটে আসে ৩০ বলে সর্বোচ্চ ৭৫ রান।
লখনউর ইনিংস শেষে তাই সন্তুষ্টির ছাপ ছিল দিল্লির চোখেমুখে। কিন্তু ২১০ রানের লক্ষ্যে নেমে পাওয়ার প্লের পর আর চার বল খেলে ৬৫ রানে ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে তারা।
সেখান থেকে দল হঠাৎ ঘুরে দাঁড়ায়। ট্রিস্টান স্টাবস দিল্লিকে ম্যাচে ফেরান। ২২ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান তিনি।
ভিপরাজ নিগাম ও আশুতোষ শর্মা ৫৫ রানের ঝড়ো জুটিতে মোমেন্টাম তৈরি করেন। ১৫ বলে পাঁচ চার ও দুই ছয়ে ৩৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে থামেন ভিপরাজ।
১৬৮ রানে সাত উইকেট হারানোর পর আশুতোষ বড় জুটির অভাবে চাপে পড়েছিলেন। খুব দ্রুত মিচেল স্টার্ক ও কুলদীপ যাদব আউট হলেও শেষ জুটিতেও তিনি আশা ছাড়েননি। জয় থেকে তখনও ১৮ রান দূরে দল, হাতে মাত্র এক উইকেট, বাকি ৯ বল। এই কঠিন অবস্থাতেও ডাবলস নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আশুতোষ। তারপর মোহিত শর্মাকে অন্য প্রান্তে রেখে চার-ছক্কায় ব্যবধান কমান। শেষ ওভারে লাগতো ৬ রান, হাতে এক উইকেট।
মোহিত শর্মা প্রথম বলে রান নিতে পারেননি। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইকে পাঠান আশুতোষকে। সময় নষ্ট করেননি তিনি। তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে দলকে জেতান। ৩১ বলে পাঁচটি করে চার ও ছয়ে ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন আশুতোষ। প্রত্যাশিতভাবে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি।