হতাশাজনক ব্যাটিং ধসে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে ৯২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। অবিশ্বাস্য হারের পর দায়টা নিজের কাঁধেই নিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের মনে হয়েছে, তার উইকেট পতনই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
শারজায় ২৩৬ রানের জবাবে দারুণ জবাব দিচ্ছিল তারা। শুরুতে তানজিদ তামিম ফিরলে দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারকে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি গড়েন শান্ত। তৃতীয় উইকেটও আবার মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে পান তিনি। সেই জুটিতেও যোগ করেন ৫৫ রান। শান্ত ৪৭ রানে আউট হলে ভেঙে যায় সম্ভাবনাময় এই জুটি। তখন দলের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১২০ রান। তার পর তো অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে ৩৪.৩ ওভারেই ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
ম্যাচের পর তাই নিজেকেই কাঠ গড়ায় দাঁড় করান শান্ত, ‘মনে হয়, আমার উইকেটই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। কারণ আমি সেট হয়ে গিয়েছিলাম। তাছাড়া মিরাজ, সৌম্য ৩০/৪০ রান করে আউট হয়েছে। এই ধরনের কন্ডিশনে আরও লম্বা সময় ব্যাট করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এদিন ব্যাটিংয়ে এটিই ছিল মূল সমস্যা।’
শুরুতে ব্রেক থ্রু এনে দেন অফস্পিনার গজনফর। তুলে নেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট। তার পর তো ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন আফগান স্পিনার। ২৩ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। এমন স্পিন বোলিং যেমন তাকে রহস্যময় করে তুলেছে পাশাপাশি বাংলাদেশের বল পড়তে না পারার ব্যর্থতার বিষয়টিও ফুটে উঠেছে। এর জবাবে শান্ত বলেছেন, ‘আফগানদের সব সময়ই রহস্যময় স্পিনার ছিল। সেই জায়গা থেকে গজনফর দারুণ বোলিং করেছে।’
বল হাতেও এক পর্যায়ে আফগানদের ওপর চড়াও হতে পেরেছিল বাংলাদেশ। ৭১ রানে তুলে নিতে পেরেছিল ৫ উইকেট। সেখান থেকে মোহাম্মদ নবীর ৮৪ রানের লড়াই তাদের টেনে তুলে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পাইয়ে দিয়েছে। শান্তও মেনে নিলেন নিজেদের ব্যর্থতার কথা, ‘আমরা ১৫-২০ ওভারে ভালো শুরু করেছিলাম। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। নবী দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। আমাদের সেভাবে চড়াও হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। এই উইকেট-ই বোলারদের যথেষ্ট সাহায্য করেছে।’