তবে যদি ট্রাম্প সাহায্য কমান বা তালেবানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন, তাহলে আফগানিস্তানের অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে। এতে দেশটিতে অস্থিরতা বাড়বে, নতুন করে অভিবাসনসংকট দেখা দেবে এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা আরও বেড়ে যেতে পারে।
মার্কিন জনগণের যে অংশ বিদেশি সংঘাতে জড়ানোর বিষয়ে সতর্ক, তাদের কাছে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপবিরোধী নীতি জনপ্রিয় হতে পারে। তবে ট্রাম্পের এই নীতির কারণে অধিকতর দুর্বল ও দরিদ্র আফগানিস্তান ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
এমন পরিস্থিতি আফগান জনগণের জন্যও ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। এতে দেশটির অর্থনৈতিক দুর্দশা আরও বাড়বে। সেখানে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়তে পারে। নতুন করে দেশটিতে সংঘাত দেখা দিতে পারে এবং দেশটি বিশ্বের বাকি অংশ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে।
এটি শুধু আফগান জনগণকেই নয়, বরং পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও প্রভাবিত করবে।
মোদ্দাকথা, দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পকে আফগানিস্তান নীতিতে সফল হতে হলে বাস্তববাদী বিচ্ছিন্নতা ও বৈশ্বিক নেতৃত্বের দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে। অন্যথায় একটি সংঘাতের অবসান ঘটানোর চেষ্টায় নতুন ও আরও জটিল সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে।
● আজিজ আমিন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড গ্লোবাল সোসাইটি থিঙ্কট্যাংকের একজন ফেলো এবং লেখক ও বিশ্লেষক
আল–জাজিরা থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ