বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিলে মূলত দুটি অংশ থাকে। এর একটি স্থায়ী খরচ, যা কেন্দ্রভাড়া (ক্যাপাসিটি চার্জ) নামে পরিচিত। আরেকটি অংশ জ্বালানি ও পরিচালন খরচ, যা জ্বালানির দামের ওপর ভিত্তি করে বাড়ে বা কমে। কেন্দ্রভাড়ার অংশটি চুক্তিতে নির্ধারিত থাকে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও এটি দিতে হয়, না করলেও এটি দিতে হয়।
কেন্দ্রভাড়ার বিলে দুটি অংশ—স্থির ব্যয় ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়। স্থির ব্যয়ের মধ্যে মূলত জমির মূল্য, ব্যাংকঋণের সুদ ও আসল ধরা হয়। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যয় হেরফেরের সুযোগ নেই। রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যে মেরামত, বেতন-ভাতাসহ পরিচালন খরচ, বিশেষজ্ঞ খরচ, বিমা ইত্যাদি থাকে। এ ক্ষেত্রে ব্যয় কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
পিডিবির কর্মকর্তারা হিসাব করে দেখিয়েছেন, দেশি মালিকানার ক্ষেত্রে বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি দামে কেন্দ্রভাড়ার স্থির ব্যয়ের অংশটি ডলারের বদলে টাকায় ধরা হলে সরকারের ৮-১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। পিডিবির সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে এভাবেই বিদ্যুৎ বিল হিসাব করা হয়।
দেশি উদ্যোক্তরা দেশি অর্থে জমি কিনে এবং দেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। মানে হলো বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে সব খরচই হয়েছে টাকায়। কিন্তু বিল পরিশোধ করা হচ্ছে ডলারে হিসাব করে।