Homeদেশের গণমাধ্যমেঅস্ত্র বেচাকেনার অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবলসহ ৬ জন গ্রেফতার

অস্ত্র বেচাকেনার অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবলসহ ৬ জন গ্রেফতার


চট্টগ্রামে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছে বেচাকেনার অভিযোগে মো. রিয়াদ নামে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকালে গ্রেফতার ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার নগরীর পতেঙ্গা থানার কাঠগড় ও বাকলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও সাতটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। কনস্টেবল রিয়াদ চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। গ্রেফতারের পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গ্রেফতার বাকিরা হলেন– পুলিশ কনস্টেবলের সহযোগী আবদুল গনি, আবু বক্কর, ফরহাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. ইসহাক।

আদালতে হাজির করার পর আসামিদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ, আবু বক্কর ও মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে অস্ত্র কেনাবেচায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি দুই আসামি আবদুল গনি ও ফরহাদ হোসেনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত। আরেক আসামি ইসহাক জবানবন্দি না দেওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অস্ত্র, গুলিসহ গ্রেফতার ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে তিন জন জবানবন্দি দেন। বাকি দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি লোহাগাড়া থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের একটি বলে জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নগরের কোতয়ালি থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।’

অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় কোতয়ালি থানার পরিদর্শক তদন্ত আফতাব হোসেন বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চাঁদপুর জেলায় কর্মরত কনস্টেবল রিয়াদকে জিজ্ঞাসাবাদকালে দীর্ঘদিন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তার সঙ্গে জড়িত চক্রের বাকি পাঁচ সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর পতেঙ্গার কাঠগড় এলাকায় আবদুল গনির কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।’

গত ৩ মার্চ রাতে সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নে গণপিটুনিতে দুই জামায়াতকর্মী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেক নিহত হন। ওই সময় নিহত নেজামের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। ওই অস্ত্রটি এই পুলিশ সদস্য রিয়াদ বিক্রি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। লাশের পাশে পাওয়া অস্ত্রটি নগরীর কোতয়ালি থানার বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অত্যাধুনিক এ অস্ত্রটি উদ্ধারের পর সাতকানিয়ায় নেজামের পাঁচ সহযোগীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে পুলিশ।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নগরীর আটটি থানা ও আটটি ফাঁড়ি লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। ওই সময় ৮১৩টি অস্ত্র এবং ৪৪ হাজার ৩২৪টি গুলি লুট হয়। এর বেশির ভাগ অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত