‘বাংলাদেশ পুনর্জন্ম: ৩৬ জুলাইয়ের পথে’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ ইএমকে সেন্টারে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কাজ করা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম)।
এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে যাদের ছবি স্থান পেয়েছে তারা হলেন, আবির আবদুল্লাহ (ম্যাট্রিক্স ইমেজ এলএলসি), ফাতিমা তুজ জোহোরা (ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি), জীবন আহমেদ (বেনার নিউজ), কে এম আসাদ (জুমা প্রেস), সাজ্জাদ হোসেন (সোপা ইমেজেস), মনিরুল আলম (ইপিএ), মুক্তাদির রশিদ (ইরাবদি) , মুনির উজ জামান (এএফপি), স্যাম জাহান (রয়টার্স), শরীফ খিয়াম (বেনার নিউজ) এবং সুলায়মান হোসেন (আল জাজিরা)।
বিজেআইএমের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ প্রদর্শনীর বিষয়বস্তু জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বাংলাদেশের ছাত্রজনতার বিপ্লব, যেটির মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের পতন ঘটে।
মুক্তাদির রশীদ রোমিওর সঞ্চালনায় ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনীর একমাত্র সন্তান মাহির সারওয়ার মেঘ।
মেঘ বলেন, ‘আমি আমার মা-বাবা হত্যার বিচার চাই। শুধু সাংবাদিকতা করার কারণে আমি তাদেরকে হারিয়েছি। নতুন বাংলাদেশে আমি আমার মা-বাবা হত্যার বিচার চাই।’
বিজেআইএমের আহ্বায়ক স্যাম জাহান বলেন, ‘ন্যায়, নীতি, সত্য ও সাহসের পথে যতদিন সাংবাদিকতা থাকবে, সাংবাদিকরা থাকবেন; ততদিন আর কোনও দৈত্যদানো এই জাতির ঘাড়ে চড়ে বসতে পারবে না।’
অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টের শহীদদের সম্মানে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান কাভার করা সাংবাদিক জীবন আহমেদ, শরীফ খিয়াম আহমেদ, ইয়ামিন সাজিদ, সাইফ হাসনাত ও মুহাম্মদ আলী মাজেদ সেসময়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
প্রদর্শনীতে বিভিন্ন বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তা , সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট, ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক উপস্থিত ছিলেন।
প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও বিজেআইএম সদস্য কেএম আসাদ ছবি প্রদর্শনীর কিউরেশান করেছেন।
প্রদর্শনীটি ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত চলবে এবং ৬ ও ১১ ডিসেম্বর অনিবার্য কারণবশত প্রদর্শনীটি বন্ধ রাখা হবে।