দেশে বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিবন্ধী রয়েছেন ৩৫ লাখ ৭৬ হাজার ৭৫০ জন। এর মধ্যে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭৪ জন। তাঁদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের জন্য দেশে ৭টি সরকারি বিদ্যালয় রয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ৪২ হাজার ৬৭ জনের জন্য রয়েছে মাত্র একটি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানভিত্তিক সরকারি বিদ্যালয়। তবে বেসরকারি পর্যায়ে সারা দেশে এ ধরনের আরও কিছু বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত তথ্যে এ চিত্র উঠে আসে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘এক ভুবন এক ভাষা, চাই সর্বজনীন ইশারা ভাষা’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীদের উপযোগী চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে লক্ষ্যভিত্তিক পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি। এখন পর্যন্ত দেশে ৩৫ লক্ষাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে বাকপ্রতিবন্ধী ১ লাখ ৮১ হাজার ৮৪৮ জন এবং শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২৬ জন। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের জন্য দেশে ৭টি সরকারি বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৩২ লাখ ৩৪ হাজার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সরকারি ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আর ১ লাখ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। সামাজিকভাবে অবহেলিত প্রতিবন্ধী মেয়েদের পুনর্বাসন ও স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য বর্তমানে সরকারিভাবে দেশের ছয় বিভাগে ৬টি প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র চালু রয়েছে। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে সামাজিকভাবে নিগৃহীত বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী মেয়েদেরও সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনীর আওতায় আনা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ও বিশেষ শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষক এবং বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।