দীর্ঘ ১১ বছর বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে থাকা লাশ হস্তান্তরের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতের রায় কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। বিচারিক আদালতের রায় বাতিল চেয়ে করা রিভিশন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. জাকির হোসাইনের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
মামলা সূত্রে জানা যায়, খোকন ওরফে খোকা চৌধুরী ওরফে রাজীব চৌধুরী ওরফে রাজীব নন্দী ওরফে রঞ্জিত নন্দী রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৪ সালে মারা যান। চিকিৎসার সময় সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী হাবিবা আক্তার। মৃত্যুর পর তিনি লাশ নিয়ে দাফনের উদ্যোগ নেন। এদিকে খোকন চৌধুরীর প্রথম স্ত্রী দাবি করে মিরা নন্দী এবং তাঁর দুই সন্তান বাবুল ও চন্দনা এতে বাধা দেন।
তাঁরা দাবি করেন, তাঁদের বাবা খোকন নন্দীর লাশ হিন্দুধর্মমতে সৎকার করবেন। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে হাবিবা আক্তার লাশ বুঝে পেতে সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। সেখানে আবেদন খারিজ হলে জেলা আদালতে আপিল করেন তিনি। সেখানেও বিফল হয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন হাবিবা।
নথি অনুযায়ী, খোকন চৌধুরী ওরফে খোকন নন্দী ফার্মগেটের ক্যাপিটাল মার্কেটের মালিক। হাবিবা আক্তারের দাবি, খোকন ওরফে খোকা চৌধুরী ১৯৮০ সালে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হন। ১৯৮৪ সালে হাবিবা আক্তারকে বিয়ে করেন। এরপর ১৯৮৬ সালে প্রথম স্ত্রী মিরাকে ডিভোর্স দেন খোকা। থাকতেন হাবিবার সঙ্গেই। ধর্মান্তরিত হলেও ব্যবসার প্রয়োজনে খোকন তাঁর আগের নামই ব্যবহার করতেন।
আইনজীবী শিশির মনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১১ বছর ধরে লাশ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তাই অতি দ্রুত এটি নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।