নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ইপিজেডের শ্রমিকরা মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় বহিরাগতরা দু’টি পোশাক কারখানায় হামলা ও ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রাইভেটকার ও মিনি ট্রাকসহ ৪-৫ টি গাড়িও ভাংচুর করা হয়। এ সময় ৪৫ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। পরে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীসহ আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পাঞ্চল পুলিশ-৪’র নারায়ণগঞ্জ জোনের পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) সেলিম বাদশা।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, কয়েকশ’ বহিরাগত লোক সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে ইপিজেডের সামনে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে মিছিল করছিলেন। মিছিলটি এক পর্যায়ে ইপিজেডের ভেতরে ঢুকে যায় এবং সেখানের কারখানার শ্রমিকদেরও মিছিলে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান। কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে তারা মিছিলে যোগ না দেওয়ায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর শুরু করেন মিছিলকারী লোকজন। এতে ইপিজেড শ্রমিকদের সঙ্গে বহিরাগতের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইপিজেডের অভ্যন্তরে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বহিরাগতরা মিছিল নিয়ে আদজমজী ইপিজেডের দুটি কারখানাসহ বাহিরের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় বলে জানা যায়। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক ও পোশাক কারখানার নিরাপত্তারক্ষী আহত হওয়ার খবর পাওয়াা গেছে।
শিল্পাঞ্চল পুলিশ-৪’র নারায়ণগঞ্জ জোনের পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) সেলিম বাদশা বলেন, ইপিজেডের ভেতরে ইউনেস্কো বিডি লিমিটেড ও অনন্ত হুয়াশিং লিমিটেড নামে দুটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় তারা ভাঙচুর চালান। এ সময় বহিরাগত ৩শ’ থেকে ৪শ’ লোকজন ছিল। আশেপাশের কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করেন। অন্তত ৩০ মিনিট তারা ভাঙচুর চালায়। পরে শিল্প পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ বিষয়ে জানতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী জনকণ্ঠকে রাত ১১টায় বলেন, মার্চ ফর গাজার কর্মসূচীতে শ্রমিকরা যোগ দিতে রাজি হয়নি। এ জন্য বহিরাগত লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কারখানার কাঁচ ভাংচুর করেছে। পরে তারা সড়কে এসে প্রাইভেটকার ও মিনি ট্রাকসহ ৪-৫টি গাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় র্যাব ও সেনাবাহিনী ৪৫ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।