সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদকের মহাপরিচালক জানান, চারটি পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। অন্য যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাঁরা হলেন—সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক আট সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, ফজলে হোসেন বাদশা, আয়েন উদ্দিন, আসাদুজ্জামান আসাদ, আব্দুল ওয়াদুদ দারা, ডা. মনসুর রহমান, এনামুল হক ও আবুল কালাম আজাদ।
দুদকের সূত্র বলেছে, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই আট সাবেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ ফেলে আত্মগোপনে থাকার অভিযোগ রয়েছে।
তারেক সিদ্দিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত: দুদক জানায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বন্দরে উন্নয়নকাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। যাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অনুসন্ধান করা হবে, তাঁরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার, সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনালের মালিক মাহবুব আনাম ও লুৎফুল্লাহ মাজেদ।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, বাজুসের সাবেক সভাপতি এনামুল হক দোলনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।