প্রেম-ভালোবাসা কিংবা দাম্পত্য জীবন—সম্পর্ক মানেই দায়িত্ব, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সমঝোতা। কিন্তু এখনো সমাজে প্রচলিত একটি সাধারণ ধারণা হলো, সম্পর্কের ভার বহন করার প্রধান দায়িত্ব যেন ছেলেদেরই! কেন এই দায়িত্ববোধ কেবল পুরুষদের ওপর বর্তায়? সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমান দায়িত্বশীলতা কি দুই পক্ষেরই হওয়া উচিত নয়?
প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব
আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রে ছেলেদের ওপরই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চাপ দেওয়া হয়। অনেকেই মনে করেন, একজন পুরুষকেই বেশি দায়িত্ব নিতে হবে—সেটা আর্থিক হোক বা আবেগিক।
নারী-পুরুষ উভয়ের সমান ভূমিকা থাকা উচিত
একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে উভয়েরই সমানভাবে চেষ্টা করা দরকার। সম্পর্কের মধ্যে বোঝাপড়া, সহমর্মিতা ও দায়িত্বশীলতা থাকা উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। একতরফাভাবে শুধু একজনের দায়িত্ব নেয়া সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
পরস্পরের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতা জরুরি
সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতা থাকা উচিত। শুধু একজন দায়িত্ব নিলে দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। দুজন মিলে সম্পর্কের দায়িত্ব ভাগ করে নিলে সম্পর্ক আরও সুস্থ ও সুন্দর হয়।
পরিবর্তন দরকার মানসিকতার
সমাজের প্রচলিত এই ধারণা বদলানোর সময় এসেছে। সম্পর্কের দায়িত্ব কেবল ছেলেদের নয়, বরং উভয়েরই সমানভাবে থাকা উচিত। সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একে অপরের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া জরুরি।
সম্পর্ক তখনই মজবুত হয়, যখন দুইজনই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহযোগী হন। দায়িত্ব একতরফাভাবে ছেলেদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। সুস্থ, সুন্দর ও টেকসই সম্পর্কের জন্য উভয়েরই সচেতন হওয়া দরকার।