Homeজাতীয়সংস্কার থেকে বাঁচার উপায় নেই: প্রধান উপদেষ্টা

সংস্কার থেকে বাঁচার উপায় নেই: প্রধান উপদেষ্টা


প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কার থেকে আমাদের বাঁচার উপায় নেই এবং সেটি গভীরভাবে হতে হবে। আমরা এখানে একতাবদ্ধ। ঐকমত্য হলে একটা জুলাই সনদ তৈরি হবে, শেষমেশ লক্ষ্য কিন্তু জুলাই সনদ তৈরি করা। কীভাবে সেটা বাস্তবায়ন করা হবে সেটা পরে আলোচনা হবে। একমত হওয়া প্রথম জরুরি বিষয়। একমত হয়ে গেলে বাস্তবায়নে করণীয় এমনিতেই বেরিয়ে আসবে। একমত না হলে আমাদের মুক্তি নেই।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অনেকক্ষণ ধরে আমরা আলোচনা করছি, কারণ এখান থেকে জাতি হিসেবে আমাদের সরে যাওয়ার উপায় নাই। যদি বলি যে সংস্কারের প্রয়োজন নাই, লোকে হাসবে। বলবে যে, এতদিন কী করলেন তাহলে। সেটা আমরা কেউ বলছি না, সংস্কার দরকার, খুব গভীরভাবে দরকার, হালকাভাবে না। সবাইকে একত্রিত করার প্রয়োজন ছিল। কাজেই একসঙ্গে বসে সবাই সবার কথা শুনলাম। বুঝতে পারলাম, আমাদের দায়িত্ব কী, আমরা কী করতে চাচ্ছি।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অনাচারের সীমা নেই- এটা আমরা সবাই স্বীকার করছি। কোনও প্রতিষ্ঠান, আইন ঠিক মতো চলছে না, সংস্কার তো এটা নিয়েই। দুর্নীতি সংস্কার কমিশন বলেছে— দুর্নীতি থেকে বাঁচার জন্য করণীয়, এটাতে কে দ্বিমত করবে! আমরা সবাই চাই— দুর্নীতি নির্মূল হোক। কমিশন যদি ১০০টি প্রস্তাব দেয় আমর ১০০টি মেনে নেবো। আপনারা দেশের রাজনৈতিক নেতারা, আপনাদের কাছে আসলে কাজটি সহজ হয়ে যায়। এখানে পাতা উল্টালে খুব বেশি জায়গা পাবেন না। ছোট-খাটো দুই একটা পরিবর্তন করতে পারেন হয়তো, না হলে তো দুনীতি থেকে বাঁচতে কী এমন কথা বলবো যে সেখানে সামান্য আপত্তি থাকে। কাজেই আপত্তি থাকলে সংশোধন করা যাবে, কমিশন বলেছে বলে আমাদের হুবহু নিতে হবে তারও কোনও কারণ নাই। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবেদনের বই আপনারা পাননি বলে শুনলাম। আপনাদের কাছে দেওয়া হোক, সংক্ষিপ্ত আকারেরগুলোও দেওয়া হোক। কোন বিষয়ের প্রতি কার সম্মতি আছে, কোন বিষয়ে নাই— এগুলো আমরা জনসম্মুখে উন্মুক্ত করবো। এটা কোনও গোপন জিনিস না, রাজনৈতিক দলের একটা বক্তব্য। চার্টার যখন হয়ে যাবে, তখন আপনাদের বলবো— মেহেরবানি করে সই করে দিন। এটা আমরা জাদুঘরে সংরক্ষণ করবো। জাতির সামনে যত তাড়াতাড়ি আসবে, কার্যপ্রণালী তত তাড়াতাড়ি হবে, না হলে কী নিয়ে আমরা মানুষের কাছে যাবো।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে অনেকগুলো ফোন থাকবে। যাতে কোনও কিছু না বুঝলে ফোন দিয়ে বুঝে নিতে পারেন। সংস্কার আসমান থেকে ফেলার জিনিস না। যেটা আমরা প্রতিদিন অনুভব করছি, যেগুলো থাকা উচিত না সেগুলো বের করে দেওয়া। এরপর আইন কীভাবে বানাবেন সেটা আপনাদের হাতে, যখন নির্বাচিত হয়ে আসবে পরিবর্তন করা লাগলে করবেন। আমরা শুধু আপনাদের মতামতগুলো এক জায়গায় করতে চাই যাতে প্রেরণা জাগে। শেষ কথা হচ্ছে এটা থেকে আমাদের মুক্তি নাই, আমাদেরকে করতে হবে। এটার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা আমাদের কাছে নাই।

 





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত