রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে চীন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান। আজ রোববার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর নিয়ে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের বিষয়টি চীনের কাছে তুলে ধরেছেন। চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এই ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। চীন পরিষ্কারভাবে বলেছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে তারা তাদের সাধ্যমতো সকল চেষ্টা করবে। এটা আমাদের জন্য একটা বড় কথা ছিল, আপনারা প্রেস স্টেটমেন্টের প্রতিফলন দেখতে পাবেন।’
শিল্পায়নের ক্ষেত্রে চীনা বিনিয়োগের আহ্বানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আমাদের যুব সম্প্রদায়ের যে কর্মসংস্থান হবে, তার অনেকটাই নির্ভর করবে আমাদের শিল্পায়নের গতির ওপরে। চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাংলাদেশে এসে তাদের কারখানা স্থাপন করেন এ বিষয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্ট শিকে সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় প্রেসিডেন্ট সি সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিয়েছেন, বিষয়টি তিনি ব্যক্তিগতভাবে তদারকি করবেন। এটা আমাদের জন্য একটা বড় পাওয়া। চীনের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠক করেছেন এবং সেগুলো থেকে যে সম্ভাবনাগুলো আমরা দেখছি, তাতে আমরা অত্যন্ত উৎসাহিত হয়েছি।’
প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে চীন বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেকোনো একটা সফরের আয়োজন দেখে আপনি বুঝবেন, মেহমানকে কতটুকু গুরুত্বের সঙ্গে এবং সাদরে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গ্রেট হল থেকে বাইরে এসে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগতম জানানোর জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট সি সাধারণত গ্রুপ ফটো তোলেন না। কিন্তু তিনি আমাদের সবাইকে নিয়ে হাসি মুখে ছবি তুলেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (সি চিন পিং) বৈঠকের সময় লিখিত নোটের বাইরে গিয়ে ফুজিয়ানের গভর্নর থাকার সময়কার কথা স্মরণ করেন। সে সময় তিনি মাইক্রো ক্রেডিট সম্পর্কে পড়াশোনা করেছেন এবং ফুজিয়ান প্রদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য এটির প্রয়োগও করেছেন। আমাদের প্রধান উপদেষ্টার ফিলোসফি তিনি তা গ্রহণ করেছেন! এটা শুনে আমরা সকলে আনন্দিত বোধ করেছি। এই যে সরল স্বীকারোক্তি, আমাদের জন্য এটা একটা বিরল ব্যাপার।’